<p>বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এর মধ্যে দুটি হলুদ কার্ড হয়ে যাওয়ায় আগামীকাল ঘরের মাঠে লেবাননের বিপক্ষে খেলতে পারছেন না রাকিব হোসেন ও সাদ উদ্দিন। দলের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই খেলোয়াড় মালদ্বীপের বিপক্ষে প্লে অফে প্রথম হলুদ কার্ড এবং পরে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয়বার একই কার্ড দেখেন।</p> <p>বাংলাদেশ দল শুরু থেকে বলে আসছে মেলবোর্ন থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে লেবাননের বিপক্ষে ঘরের মাঠে কিছু করে দেখানোই মূল লক্ষ্য। সেখানে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে কার্ড দেখে সেই আসল ম্যাচ খেলতে না পারা ভীষণ দুর্ভাগ্যের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কার্ড দুটো কেনই বা দেখতে হলো তাঁদের। নিষেধাজ্ঞার এমন খড়্গ সামনে রেখে আরও কি সংযত থাকতে পারতেন তা তাঁরা? আজ সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূইয়ার কাছে এমন প্রসঙ্গ তুললে বিষ্ময়কর তথ্যই দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘সেই ম্যাচের পর আমিও ওদের জিজ্ঞেস করেছি যে, ওরা কি জানতো না যে ওদের আগে একটা কার্ড ছিল। কিন্তু ওরা বলেছে, ওরা ভেবেছিল ৩ টা হলুদ কার্ড হলে ১ ম্যাচ বসে থাকতে হবে। কিন্তু সেটা তো না, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুই হলুদ কার্ডেই এক ম্যাচ বাইরে থাকতে হবে। এখানে আসলে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।’ দলের ম্যানেজম্যান্টের পক্ষ থেকে যদিও বলা হচ্ছে, তাঁদের এটা না জানার কথাই না। বিভিন্ন সময়ই খেলোয়াড়দের এ বিষয়গিুলো অবহিত করা হয়।</p> <p>তা না হলে ফুটবলারদের গন্ডগোল করে ফেলাটা খুব অস্বাভাবিকও বলা যাবে না। কারণ রাকিব, সাদই যখন এএফসি কাপে মাঠে নামছেন সেখানে ঠিকই ৩ হলুদ কার্ডে ১ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা। সেটা ঘরোয়া লিগেও। আবার ফেডারেশন কাপ বা স্বাধীনতা কাপের মত ছোট দৈর্ঘ্যের টুর্নামেন্ট যদি ধরেন, সেখানে আবার ২ হলুদেই এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের তবু এই ভুল বেমানানই।</p> <p>সাদ মালেতে মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথম হলুদ কার্ডটি দেখেছিলেন শেষ মুহূর্তে সমতা ফিরিয়ে জার্সি খুলে উদযাপনের জন্য। সেটিই এখন কাল হলো। যদিও ওমন মুহূর্তে একজন ফুটবলারের সংযত থাকাটাও কঠিন। কিন্তু পরের ম্যাচগুলোতে তো তা হতেই হবে।<br />  </p>