<p>সকাল থেকেই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিআইপি গেটে সাংবাদিকদের জটলা। সকাল ৯টায় এ পথ দিয়ে বের হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। তবে ভারতের পুনে থেকে বিশেষ বিমান পৌঁছে নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট পর। আরো ১ ঘণ্টা পর বিমানবন্দর ছাড়েন ক্রিকেটার, টিম ম্যানেজমেন্ট, সাপোর্ট স্টাফের সদস্যরা।</p> <p>৯ ম্যাচে মাত্র ২ জয়। ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। আজ ভারতের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস কোনো অঘটন ঘটালে নেমে যেতে হবে আরো নিচে। সে ক্ষেত্রে ২০২৫ সালে পাকিস্তানে বসতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও খেলা হবে না বাংলাদেশ দলের। এমন শঙ্কা আর সমীকরণ নিয়ে ব্যর্থ বিশ্বকাপ কাটিয়ে ফিরলেন মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসরা।</p> <p>জানা গেছে, বিদেশি কোচিং স্টাফের মধ্যে শুধু প্রধান চন্দিকা হাতুরাসিংহে ঢাকায় ফিরেছেন, বাকিরা ছুটিতে যে যার দেশে গেছেন। ক্রিকেটারদের অনেকে ঢাকায় ফিরলেও বিমানবন্দর থেকে বের হননি। ডমেস্টিক ফ্লাইট ধরে নিজ নিজ বাড়িতে গেছেন কয়েকজন।</p> <p>ঢাকায় ফেরার পর দলের প্রতিনিধি হয়ে কেউই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। এমন ব্যর্থ মিশন শেষে কী-ই বা বলার থাকে, সে নিয়ে চলল কানাঘুষো।</p> <p>ক্রিকেটারদের বেশির ভাগই নিজের গাড়িতে বসে মাথা নিচু করে বিমানবন্দর ছাড়েন। ব্যতিক্রম শুধু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিমানবন্দরে উপস্থিত অগণিত ক্যামেরার দিকে হাত নাড়তে নাড়তে বের হন এই অলরাউন্ডার। তার কারণ অবশ্য অজানা নয়। বিশ্বকাপে তার দলে থাকা নিয়েই ছিল শঙ্কা। সেই শঙ্কা উড়িয়ে বাংলাদেশের হয়ে সেরা পারফরম্যান্স আসে তার ব্যাট থেকেই।</p>