জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলরকে সাড়ে তিন বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারতের এক জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের পাওয়া প্রস্তাব যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সময় মতো না জানানোয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) তাকে সব ধরনের ক্রিকেটে সাড়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। গত ২৪ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে চার পৃষ্ঠার এক বিবৃতি দিয়ে নিজের অপরাধের কথা জানান টেইলর।
এছাড়াও আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী চারটি আলাদা আলাদা ধারা ও আইসিসি অ্যান্টি-ডোপিং কোডের একটি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে টেইলরের বিপক্ষে।
বিজ্ঞাপন
টেইলর বলেছিলেন, স্পন্সরশিপ ও জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টোয়েন্টি লিগ চালু করার বিষয়ে আলোচনার জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে তাকে ভারতে ডেকেছিল এক ভারতীয় ব্যবসায়ী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং ভারতে আসার জন্য ১৫ হাজার মার্কিন ডলারও দেওয়া হয়। আলোচনা শেষে রাতের পার্টিতে টেইলরকে কোকেন সেবন করিয়ে ভিডিও ধারণ করে তারা। এরপরই ব্ল্যাকমেইলিং শুরু হয়েছিল। আর ‘ব্ল্যাকমেইল করে’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
দেশের হয়ে ৩৪ টেস্টে ২৩২০ রান, ২০৫ ওয়ানডেতে ৬৬৮৪ রান এবং ৪৫টি টি-টোয়েন্টিতে ৯৩৪ রান করেন ৩৫ বছর বয়সী টেইলর। ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তিন ফরম্যাটে বিভিন্ন মেয়াদে অধিনায়কও ছিলেন। বাংলাদেশ সাকিব আল হাসানও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার ঘটনাটি সময়মতো আইসিসিকে না জানানোর জন্য ২০১৯ সালে ২ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। এরমধ্যে এক বছর নিষিদ্ধ ছিলেন সাকিব।