তামিমের ব্যাটিং ছিল যতটা ভয়ংকর, ততটাই দৃষ্টিনন্দন। ছবি : মীর ফরিদ
২৪ ঘণ্টা আগেই তিনি টি-টোয়েন্টি থেকে ছয় মাসের ছুটি নিয়েছেন। সেইসঙ্গে আর না ফেরার আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন। এরপরই দেখা গেল সেই তামিম ইকবালের রুদ্ররূপ। এই আসরেই নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটি উপহার দিয়েছেন তামিম।
বিজ্ঞাপন
সেঞ্চুরির পর তামিম ইকবালের উদযাপন। ছবি : মীর ফরিদ
তিন অংকে পৌঁছতে তামিম সময় নেন মাত্র ৬১ বল। হাঁকান ১৬ চার এবং ৩টি ছক্কা। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৪৫ বলে ৫২ রান করেন তামিম। স্ট্রাইক রেট ১১৫.৫। পরের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে করেন ৪২ বলে ৫০। স্ট্রাইক রেট ১১৯.০৪। দুটি ম্যাচেই পরাজিত হয় মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। তৃতীয় ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে প্রথম জয় পায় ঢাকা। সেই ম্যাচে তামিম 'ডাক' মারেন। এতে তামিমের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। সেই তামিম আজ খেলেছেন ১৭৩.৪৩ স্ট্রাইক রেটে।
সেঞ্চুরির পর তামিম ইকবালের উদযাপন। ছবি : মীর ফরিদ
তামিমের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়েই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। তবে শেষের দিকে আলাউদ্দিন বাবুর বলে ৩৯ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় ৫৩ রান করা মোহাম্মদ শাহজাদ আউট না হয়ে গেলে ঢাকা জিতে যেত ১০ উইকেটে। ৬৪ বলে ১১১ রানের ইনিংসে চার মেরেছেন ১৭টি এবং ছক্কা মেরেছেন ৪টি। ১৮ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা।