করোনার কারণে এবারের প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে সম্প্রতি বেশ কিছু ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে লিগ কর্তৃপক্ষ। যার প্রেক্ষিতে বুধবার করোনা সংক্রান্ত নতুন আইন জারি করেছে প্রিমিয়ার লিগ, যা অংশগ্রহণকারী ২০টি ক্লাবই মেনে নিয়েছে। নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী একটি দলে অন্তত চারজন কোভিড পজিটিভ হলে সংশ্লিষ্ট ক্লাবটির অনুরোধে ম্যাচ স্থগিত করা যেতে পারে।
আগের আইনের কারণে বেশ কিছু ক্লাব ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় তাদের তোপের মুখে এই পরিবর্তণ করতে বাধ্য হয় লিগ কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
আর এই সুযোগে কোন দলে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকলেও ইনজুরি ও জাতীয় দলের ছাড়পত্র দেয়া খেলোয়াড়দের না পেয়ে সেই ম্যাচটি স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে সফল হয়েছে অনেক ক্লাবই। ইংল্যান্ডে ওমিক্রন ভাইরাস ব্যপকহারে ছড়িয়ে পড়ার পর ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কোভিডের কারণে প্রিমিয়ার লিগে ২২টিম ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে। অ্যাস্টন ভিলার প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টিয়ান পুরস্লো সম্প্রতি বলেছেন এই আইন মোটেই যথার্থ নয়। আর্সেনালের বিপক্ষে লন্ডন ডার্বির ম্যাচটি স্থগিতের আবেদন করে সফল হতে না পারায় আগের আইন নিয়ে টটেনহ্যামও লিগ কর্তৃপক্ষের বেশ সমালোচনা করেছিলেন।
প্রিমিয়ার লিগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আজ ক্লাবগুলোর সাথে আলোচনার পর ম্যাচ স্থগিতের ব্যপারে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত আইনের কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছে। আর এই আইনে প্রতিটি ক্লাবই সম্মতি জানিয়েছে। পুরো মহামারি জুড়েই খেলোয়াড়, স্টাফ ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা প্রাধান্য দিয়ে আসছি। ডিসেম্বরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শুরু হওয়ার পর আমরা সর্বশেষ এই গাইডলাইন আপডেট করি। নতুন আইনেও ক্লাবের অনুরোধ পর্যবেক্ষণ করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। '
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বার্নালি বনাম ওয়াটফোর্ডের মধ্যকার পুন:নির্ধারিত ম্যাচটি দিয়ে নতুন এই আইনের প্রয়োগ শুরু হবে বলে লিগ নিশ্চিত করেছে। যদিও কিছু কিছু শীর্ষ ক্লাবের ম্যানেজাররা মৌসুমের মাঝামাঝিতে এই আইন পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের মতে একটি ক্লাব যদি চারজন কোভিড খেলোয়াড় নিয়ে খেলতে না পারে তবে স্থগিতের কারণে প্রতিপক্ষ দলটি বাড়তি সুবিধা পাবে।