<p>পেশাদার ক্রিকেট দল কখনই তার প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবে না। সেটা হোক জিম্বাবুয়ে কিংবা নেপাল। তবে শক্তির একটা স্পষ্ট পার্থক্য থেকে যায়। শক্তির দিক দিয়ে দুর্বল দলের সঙ্গে পরীক্ষা-নীরিক্ষার সুযোগ বেশি থাকে। ক্রিকেটারদের বাজিয়ে দেখা যায়। আজ রবিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ উইনিং কম্বিনেশন বজায় রেখেছে। প্রথম ওয়ানের একাদশই খেলছে আজ। মাঠের বাইরে বসে আছেন নুরুল হাসান সোহান।</p> <p>মুশফিকুর রহিম পারিবারিক প্রয়োজনে সফরের মাঝপথে দেশে ফিরে আসায় উইকেটকিপার হিসেবে সোহানের একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তবে প্রথম ওয়ানডেতে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান লিটন দাস। চার এবং পাঁচে নেমে যথারীতি ব্যর্থ হন মোহাম্মদ মিঠুন এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। প্রশ্নটা উঠেছে এখানেই। এই দুজনের জায়গায় সোহানকে বাজিয়ে দেখা যেত না? ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা দুটি ওয়ানডেই এখন পর্যন্ত সোহানের সম্বল!</p> <p>নেলসনে অনুষ্ঠিত ওই দুটি ওয়ানডেতে সোহান যথাক্রমে ২৪ এবং ৪৪ রান করেছিলেন। নতুন হিসেবে খারাপ বলার সুযোগ নেই। অন্যদিকে মোহাম্মদ মিঠুন সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে করেছেন ৯, ৭৩*, ৬, ০ এবং ১৯ রান। গত ম্যাচে তো তিনি দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়ে গেছেন। অন্যদিকে সর্বশেষ ১২ ম্যাচে মাত্র একটি ফিফটি (৫১) করেছেন মোসাদ্দেক। পরিসংখ্যানই বলছে, দুজনের কারও পারফর্মেন্সই আহামরি নয় যে অন্য কাউকে পরীক্ষা করে নেওয়া যাবে না। এসব জায়গায় সুযোগ না হলে আর কোথায় সুযোগ পাবেন সোহানের মতো জাতীয় দলের সংস্পর্শে থাকা ক্রিকেটাররা?</p> <p>উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান সোহান এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৮৯ রান করেন। তার গড় ছিল ৩৫.৩৬ এবং স্ট্রাইক রেট দেড়শ। জিম্বাবুয়ে সফরে সোহান তিন সংস্করণের স্কোয়াডেই সুযোগ পেয়েছেন। একমাত্র টেস্টে তার সুযোগ হয়নি। প্রথম দুই ওয়ানডেতে হলো না। হয়তো সিরিজ জয় নিশ্চিত করতেই উইনিং কম্বিনেশন ঠিক রেখেছে বাংলাদেশ। তবে জিম্বাবুয়ের সঙ্গেই যদি এতটা সতর্ক হতে হয়; তাহলে নতুনদের সুযোগ দেওয়া হবে কীভাবে?</p>