<p>বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে যে কজন কোচের নাম প্রাতঃস্মরণীয় তাদের মাঝে অন্যতম চন্দিকা হাথুরুসিংহে। তার আমলেই বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে জয় পেতে শুরু করে। ওয়ানডেতে হয়ে ওঠে শক্তিশালী দল। কিন্তু শ্রীলঙ্কান এই কোচের বিদায়টা ভালো হয়নি। হুট করেই তিনি চলে যান নিজের দেশের কোচ হিসেবে। তারপর যে দুজন বাংলাদেশের কোচ হয়ে এসেছেন, কেউই হাথুরুকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের মতে, হাথুরুই ছিলেন সেরা কোচ।</p> <p>ক্রিকেটবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সুজন বলেন, 'আমি তো চন্দিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে চার বছর কাজ করেছি। একটা মানুষের ভুল-ত্রুটি পরের ব্যাপার; তার ফোকাসটা আসলে কী- এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চন্দিকাকে আমি যতটুকু কাছ থেকে দেখেছি; কখনো বলা হয়নি মিডিয়ার সামনে বা কেউ প্রশ্নও করেনি, সে ছিল সার্বক্ষণিক ক্রিকেট কোচ। আমি অনেক কোচকেই দেখেছি এর মধ্যে। সকাল ৭টার সময় যখন তার ঘুম ভাঙত তখন সে ক্রিকেট কোচ, রাত ১২টার সময় বা যখনই সে ঘুমাতে যেত, ওই পর্যন্ত সে ক্রিকেট কোচ'।</p> <p><strong>আরো পড়ুন : <a href=\"http://www.kalerkantho.com/online/sport/2021/04/10/1022561\">সৌম্যকে গিনিপিগ বানানো হয়েছে : সুজন</a></strong></p> <p>আসলে চন্দিকা হাথুরুসিংহে ছিলেন অনেকটা একনায়ক ধাচের কোচ। তার কথাই ছিল শেষ কথা। কোচ হয়েও ছিলেন নির্বাচক কমিটিতে। তার আমলেই সৌম্য-মুস্তাফিজদের উত্থান। হাথুরুর বিদায়ের পর এই তরুণরা নিজেদের হারিয়ে ফেলেছেন। হাথুরু পরবর্তী কোচেরা তরুণদের নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করছেন না বলে ইঙ্গিত করেছেন সুজন। সৌম্যের টেকনিক বদলে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তার মতে, হাথুরু এখানে শুধু চাকরি করতেন না; সর্বক্ষণ ক্রিকেট নিয়েই ভাবতেন।</p> <p>সুজন আরও বলেন, 'ক্রিকেট, বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়ন এগুলা ছাড়া সে (হাথুরুসিংহে) ভাবত না। প্রথম ট্যুরে তার সঙ্গে আমার তর্ক হয়েছিল, ঝগড়া হয়েছিল। বাট দুজন দুজনকে আবার একটা সময় বুঝতে পেরেছি। দুজনেই আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের চিন্তা করতাম। আমি বলব, সেই আমাদের জন্য সঠিক কোচ ছিল। তিনি এই উপমহাদেশের একজন মানুষ। কিন্তু তার চিন্তাভাবনা, পরিকল্পনা ছিল অনেক শক্তিশালী। সে অনেক সাহসী ছিল। চন্দিকাকে আমরা মিস করেছি'।</p>
