জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর অনেক অভিজাত খেলার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বর্ণবাদের নোংরা চেহারাটা বেরিয়ে পড়েছে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় ইংলিশ ক্রিকেটে ভয়ানক বর্ণবৈষম্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। যেগুলো কখনই হয়তো প্রকাশিত হতো। ছেলে এবং মেয়েদের ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের শিকার হওয়া ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বেন স্টোকসদের বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী শিক্ষার পাঠ দিতে চায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
পেশাদার ক্রিকেটারদের সমিতির পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করা হয়। সেই সমীক্ষায় জানা গেছে, ৬০০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৪৫ শতাংশ সতীর্থদের থেকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য শুনেছেন। ৩০ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের শিকার হয়েছেন। বাকি ১০ শতাংশ জানিয়েছেন, দলের কোচরাই তাদের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ করেছেন! এই সমীক্ষার পরেই নড়ে চড়ে বসেছে ইসিবি।
ক্রিকেটারদেরকে বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি ফোন নাম্বার দেওয়া হয়েছে। ওই নাম্বারে বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারবেন ক্রিকেটাররা। বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের বিরুদ্ধ মনোভাব তৈরি করতে শিক্ষামূলক পাঠও দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সদ্য শেষ হওয়া ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ এবং যশপ্রীত বুমরা। এই ঘটনা নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল।
মন্তব্য