একসময় ঘরোয়া ক্লাব ফুটবল দেখতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম উপচে পড় দর্শকে। এখন রাজধানীতে একের পর এক আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ হলেও দর্শক দেখা যায় না। গ্যালারি থাকে ফাঁকা। কিন্তু ঢাকার বাইরে ম্যাচ গেলেই ঢল নামে দর্শকদের।
বিজ্ঞাপন
স্টেডিয়ামে ঢুকতে দুপুর থেকেই লম্বা লাইন ছিল দর্শকদের। পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি মিলিয়ে বিশাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে কেউ ভুল বুঝতে পারেন যে, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার কোনো ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে নাকি? সোশাল সাইটে দেশের ফুটবল নিয়ে মাতামাতি প্রায় বিরল ঘটনা। কিন্তু আজকের ম্যাচটি নিয়ে সোশ্যাল সাইটেও চলছে মাতামাতি। প্রথমার্ধে স্বাগতিক দল একটি গোল খেয়ে বসলেও সেই মাতামাতি কমেনি।
ম্যাচের টিকিট ছাড়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। ২০ হাজার ধারণক্ষমতার জেলা পর্যায়ের এই স্টেডিয়ামের গ্যালারি কানায় কানায় পরিপূর্ণ। উপরে কোনো ছাউনি নেই। রোদ-বৃষ্টি দর্শকদের আনন্দ কমাতে পারেনি। খেলার ফল যাই হোক না কেন, বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন প্রান সঞ্চারের আভাস হয়তো পাওয়া যাচ্ছে। বাফুফের কাজ হবে, উপযুক্ত উদ্যোগ নিয়ে এই দর্শক ধরে রাখা।