<p>সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ভারতের মেঘালয়ের পাদদেশে বারিকটিলায় বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের ১২০ শিক্ষার্থীকে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা। উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সমতল থেকে ৫০০ ফুট ওপরে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলটির অবস্থান। </p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার মেঘালয় পাহাড় ঘেঁষে বারিকটিলার ৫০০ পরিবারে প্রায় আড়াই হাজার লোক বসবাস করে। কিন্তু বারেকটিলা ও তার আশেপাশের তিন বর্গকিলোমিটার এলাকায় কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। এসব শিশুদের লেখাপড়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে বসুন্ধরা শুভসংঘ বিদ্যালয় চালু করে। বর্তমানে বিদ্যালয়টির প্রাক প্রাথমিক ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১২০ শিশু পড়ছে। তাদের বই-খাতা, কলম, স্কুল ব্যাগ, জুতাসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ দিচ্ছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।</p> <p>বিদ্যালয়টি দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র উইশান বলে, ‘স্কুল না থাকায় লেখাপড়ার সুযোগ পায়নি, বাড়ির পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল করায় পড়ার সুযোগ পেয়েছি। স্কুল থেকে বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ বিনামূল্যে দিয়েছে। আজকে দুপুরে খাবার প্যাকেট দিয়েছে। প্রায় সময়ই বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ পেয়েছি।’</p> <p>স্থানীয় বাসিন্দা এরশাদ আলী বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলটি এখানে চালু করায় এই এলাকার অবহেলিত শিশুরা লেখা পড়ার সুযোগ পেয়েছে। বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রায় সময় বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করে। এতে করে আমাদের অনেকে উপকার হয়েছে। আজকে শিশু শিক্ষার্থীদের খাবার প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।’</p> <p>এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমাদের পিছিয়ে পড়া পাহাড়ের শিশুদের শিক্ষার আলোতে আলোকিত করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।’ </p> <p>উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া জানান, বসুন্ধরা গ্রুপের বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলটি বারেকটিলায় বসবাসকারী শিশুদের স্কুল মুখি করেছে।</p>