<p>‘বন্যার পানিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ঘরবন্দি। এর আগে ত্রাণ হিসেবে চিড়া–মুড়িসহ কিছু শুকনা খাবার পেয়েছিলেন। কিন্তু তার পরিমাণ খুবই সামান্য হওয়ায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে একবেলার খাবার হয়নি।’ বসুন্ধরা শুভসংঘের ত্রাণসামগ্রী হাতে পেয়ে এভাবেই বললেন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ গ্রামের সাখায়েত হোসেন।</p> <p>সম্প্রতি বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার উদ্যোগে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের নাগমুদ বাজার এলাকায় ১৭০ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরের আরো ২২০ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার সদস্যরা।</p> <p><img alt="Image preview" height="140" src="https://attachments.office.net/owa/latestnews%40kalerkantho.com/service.svc/s/GetAttachmentThumbnail?id=AAMkADU0YzBhZDQ2LWU3OTYtNDA0Ny05YTAyLWYzOTI4MDlhMjQzMwBGAAAAAACH7OTe%2BDtQS5cg2I2nO2r3BwC6%2BW5bVOPwRqtI%2FfWFFohJAAAAAAEMAAC6%2BW5bVOPwRqtI%2FfWFFohJAAPXI%2B3WAAABEgAQADIoKhrPTy5DqpjTtoKfLVc%3D&thumbnailType=2&token=eyJhbGciOiJSUzI1NiIsImtpZCI6IkU1RDJGMEY4REE5M0I2NzA5QzQzQTlFOEE2MTQzQzAzRDYyRjlBODAiLCJ0eXAiOiJKV1QiLCJ4NXQiOiI1ZEx3LU5xVHRuQ2NRNm5vcGhROEE5WXZtb0EifQ.eyJvcmlnaW4iOiJodHRwczovL291dGxvb2sub2ZmaWNlMzY1LmNvbSIsInVjIjoiMjAzMTlmMTFhOGQ2NGEyMzk1MTQ3OWQzZTNiNDgwMjkiLCJzaWduaW5fc3RhdGUiOiJrbXNpIiwidmVyIjoiRXhjaGFuZ2UuQ2FsbGJhY2suVjEiLCJhcHBjdHhzZW5kZXIiOiJPd2FEb3dubG9hZEAzYjc1NjcxNS03N2ZhLTRjZDAtOTU0Yy1jNjQ4NjY5NDhiODMiLCJpc3NyaW5nIjoiV1ciLCJhcHBjdHgiOiJ7XCJtc2V4Y2hwcm90XCI6XCJvd2FcIixcInB1aWRcIjpcIjExNTM4MDExMTc0MzU4MTY0MzVcIixcInNjb3BlXCI6XCJPd2FEb3dubG9hZFwiLFwib2lkXCI6XCI0MTM3ZjkwZS1lZDU1LTRiMDAtYjI1Zi0xYTcwYzJmOTI3MThcIixcInByaW1hcnlzaWRcIjpcIlMtMS01LTIxLTMxNzEyODE5NjUtOTc4OTM2MTQxLTIwMDAyNTAxNzQtMTM3NTEyODVcIn0iLCJuYmYiOjE3MjU0MzIxMTgsImV4cCI6MTcyNTQzMjQxOCwiaXNzIjoiMDAwMDAwMDItMDAwMC0wZmYxLWNlMDAtMDAwMDAwMDAwMDAwQDNiNzU2NzE1LTc3ZmEtNGNkMC05NTRjLWM2NDg2Njk0OGI4MyIsImF1ZCI6IjAwMDAwMDAyLTAwMDAtMGZmMS1jZTAwLTAwMDAwMDAwMDAwMC9hdHRhY2htZW50cy5vZmZpY2UubmV0QDNiNzU2NzE1LTc3ZmEtNGNkMC05NTRjLWM2NDg2Njk0OGI4MyIsImhhcHAiOiJvd2EifQ.b78nzHVf71PHDYYsHA8-gsyoHY07Zv1epGyA6JXN_fxZjEICBX6tBiff5TsWJTm55_moDCGtdUTVZjTQTstYQrqwIk0InBMmdIVvdAnzJsyzpRuSuiFThYceneZEyXt0QbCpeWTVVBgLyO7Wt-d2ddwvg_EKd01zMc2bQfCcGqIN9F12AnMUg2NHt4_uRw_uZPuErW2gub39eUAeijsuwdCSqxD3y4bdPCcqothbHt4RiU4TpuD6MoqdqzjmqT0hr54Hjtz99zqlzVNrRlo-9sA3kSuNu4qTb6DF9p5XYqxMX3HnD6aw-SDkayZfmMKVmLJ5SYwsCYBm3xJf2CafgQ&X-OWA-CANARY=bdvoV5exWyYAAAAAAAAAAFDlmOmszNwYEmOdXLC5ctk6neCP-rDvkeX7DHTItgzRcyp6ifrY9rY.&owa=outlook.office365.com&scriptVer=20240822057.12&clientId=1D1C72174450421F86F6135D71CA0832&animation=true" style="float:left" width="249" />ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, সয়াবিন তেল, আলু, মুড়ি, চিড়া, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট, স্যানিটারি ন্যাপকিন, পোশাক, সাবান, মোমবাতি ও পলিথিন।</p> <p>বসুন্ধরা শুভসংঘের ত্রাণ পেয়ে নাগমুদ গ্রামের বাসিন্দা সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়ার পর থেকে আমরা পানিবন্দি। ঘরবাড়ি-রান্নাঘরে ডুবে আমরা খুব কষ্টে দিনযাপন করছি। আপনাদের দেওয়া এই খাবার পেয়ে খুব উপকার হয়েছে।’</p> <p>মাঝি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত রোকসানা বানু জানান, কয়েক দিন ধরে বাড়িঘর পানিতে ডুবে আছে। তাই পরিবারসহ আশ্রয়কেন্দ্রে এসে থাকছেন। এ অবস্থায় সন্তানদের নিয়ে কষ্টে দিন যাচ্ছে। অনেকে এসে ত্রাণ দিলেও সবাই তা পাচ্ছেন না। বসুন্ধরা শুভসংঘের ত্রাণ পেয়ে পরিবারের সবাই খুশি।</p> <p>বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি রাজিব খান বলেন, ‘স্থানীয়দের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে যৌথভাবে আমরা দুটি দলে ভাগ হয়ে বন্যা কবলিত মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছনোর চেষ্টা করছি। এই এলাকায় প্রায় ৫০০ পরিবার দুই সপ্তাহ যাবৎ মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমরা তাদের খাবারসহ বিভিন্ন সহযোগিতার জন্য কাজ করছি।’</p> <p>ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার হাফিন সরকার, এমাদুল হক, তাওহিদ হাসান, আসিফ, শাওন, রফিক, শিহাব প্রমুখ।</p>