<p>সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এবং অসহায় অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের কাছে এক আলোকবর্তিকার নাম বসুন্ধরা শুভসংঘ। দেশ ও দেশের জনগণের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে সবার আগে দেশ ও জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। আগামী দিনেও অর্থের অভাবে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনা যেন বন্ধ না হয় তার জন্য সব সময় পাশে রয়েছে মানবিক সহায়তা সংগঠনটি।</p> <p>রবিবার (২৬ মে) সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান  অনুষদের একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় শিক্ষা সহায়তা। আগামী মাসে তৃতীয় বর্ষের সেমিস্টার পরীক্ষার ফি তুলে দেওয়া হয় এই মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে। সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের বিজ্ঞান ভবনের সামনে লিপনের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই সহায়তা। </p> <p>লিপন মণ্ডলের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সিলনা গ্রামে। বাবা অসুস্থ থাকায় দুই ভাইবোনের পড়াশোনার খরচ সে নিজেই বহন করছে। একই সঙ্গে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। প্রাইভেট পড়িয়ে যা আয় হয় সেই টাকায় চলে ভাইবোনের পড়াশোনার খরচ। এ বছর ধানের ফলন কম হওয়ায় তার সেমিস্টার ফি জমা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারকে। পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম- এমন সময় পাশে এসে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। </p> <p>লিপন মণ্ডল বলেন, ‘এ বছর ধানের ফলন কম হওয়ায় বিপাকে পড়ে গিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম সেমিস্টার ড্রপ যাবে। কিন্তু বসুন্ধরা শুভসংঘ আমাকে আবার আলোর পথ দেখাল, আমি আমার পরীক্ষা শেষে শুভসংঘের সাথে নিয়মিত কাজ করব।’</p> <p>বসুন্ধরা শুভসংঘের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন দাস বলেন, ‘আমরা সব সময় চাই মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখতে, কতটুকু পেরেছি জানি না। তবে এই শিক্ষার্থীরা যখন এই দেশের হাল ধরবে একদিন, সেদিনই হবে আমাদের এই সহায়তার সার্থকতা। সেদিন আমরা বলব আমরা সফল,আমরা বিজয়ী।’</p> <p>এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ বশেমুরবিপ্রবি শাখার সভাপতি আশিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইম, দপ্তর সম্পাদক পলক, জেলা শাখার সমাজসেবা সম্পাদক অয়ন সাহা প্রমুখ।</p>