<p>৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ৫২টি পতাকা উপহার দিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। সংগঠনটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি ব্যতিক্রম এ আয়োজন করে। জাতীয় দিবসে সঠিকভাবে পতাকা উত্তোলনসহ এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।</p> <p>গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরের সামনে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত। শুভসংঘের সভাপতি মো. হেদায়েতুল আজিজ মুন্নার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা।</p> <p>অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মো. শাহাদাৎ হোসেন, বাংলাদেশের আলোর জেলা প্রতিনিধি মো. মাঈনুদ্দিন রুবেল, দৈনিক বাংলার মো. মাজহারুল করিম অভি, শুভসংঘের সহ-সভাপতি মো. রাসেল আহমেদ প্রমুখ। </p> <p>একাত্মতা প্রকাশ করে পরবর্তীতে যোগ দেন সম্মিলতি সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সম্পাদক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু। এ আয়োজন সফলে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বিডি অ্যানিমেল হেলথ। পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের কাজ করেন কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু।  </p> <p>উদ্বোধনের সময় চা দোকানী মো. সাব্বিরের হাতে পতাকা তুলে দেওয়া হয়। এ সময় অভিব্যক্তি প্রকাশ করে মো. সাব্বির বলেন, ‘এক দেড়শ টাকা দিয়ে আমাকে পতাকা কিনতে হতো। এখন আমি এ টাকা খরচ থেকে বেচে গেলাম। শুভসংঘকে এজন্য ধন্যবাদ জানাই।’</p> <p>শুভসংঘের সভাপতি মো. হেদায়েতুল আজিজ মুন্না বলেন, ‘ব্যতিক্রম কিছু করতে চাই আমরা। এরই অংশ হিসেবে এ আয়োজন। উপহার হিসেবে পতাকা পাওয়া লোকজনের অভিব্যক্তি দেখে অনেক ভালো লেগেছে। ভবিষ্যতে আরো ব্যতিক্রম কিছু নিয়ে হাজির হব।’</p> <p>বিডি অ্যানিমেল হেলথ এর স্বত্বাধিকারি রাসেল আহমেদ বলেন, ‘শুভসংঘের আয়োজনগুলোতে পাশে থাকেত পেরে আমার খুব ভালো লাগে। বছরের প্রথম দিনে জন্ম নেওয়া শিশুদেরকে নতুন পোশাক দেওয়াসহ অন্যান্য আয়োজনগুলো আসলেই ব্যতিক্রম।’</p> <p>অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাকারি কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু জানান, ‘জাতীয় দিবসে পতাকার অমর্যাদার কারণে অনেকের জরিমানা হয়। এক্ষেত্রে যদি কেও এমন অমর্যাদা করে থাকে অর্থাৎ সঠিক পরিমাপের পতাকা না উড়ানো, ছেঁড়া পতাকা উড়ানো হয় তাহলে শুভসংঘ তাদের হাতেও পতাকা তুলে দিতে চায়।’</p> <p>উদ্বোধক রতন কান্তি দত্ত বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এমন একটি আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত। সত্যিই এটি একটি অন্যরকম উদ্যোগ। আমি মনে করি এ ধরণের উদ্যোগ সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।’</p> <p>প্রধান অতিথি মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘উদ্যোগটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। জাতীয় দিবসগুলোতে আমরা অনেক সময় পতাকার অমর্যাদা হতে দেখি। শুভসংঘের এ উদ্যোগের ফলে মানুষের মধ্যে বাড়তি সচেতনতা সৃষ্টি হবে বলে আশা করি। এ জন্য শুভসংঘের সঙ্গে জড়িতদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।’</p>