বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেটে অসহায় ও শীতার্ত ১১ জন হতদরিদ্র ব্যক্তির হাতে কম্বল তুলে দিয়েছেন বশেমুরকৃবি শুভসংঘের শুভার্থীরা। আজ রবিবার বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে বশেমুরকৃবি শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক নূরুজ্জামান শাকিরের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুভার্থী বন্ধুরা এই কার্যক্রম সম্পন্ন করে। সে সময় কম্বল পেয়ে সবার মুখেই হাসি ফুটে ওঠে।
৭০ বছর বয়সী মহিতুন বেগম এক শুভার্থীর মাথায় হাত বুলিয়ে দেন এবং বলেন, 'আল্লাহর কাছে দোয়া করি আপনারা আরো বড় হন, ভালা কইরা পড়ালেহা করেন।
বিজ্ঞাপন
বয়সের ভারে ন্যুব্জ মো. সুরুজ্জামান (৮০) ঠিকভাবে হাঁটতে পারেন না। কম্বল পাওয়ার পর তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন, 'রাইতে অনেক শীত পড়ে। খ্যাতা কাপড়ে কাম হয় না। কম্বলডি পাইয়া অনেক উপকার হইল। '
এ সময় উপস্থিত কালের কণ্ঠ শুভসংঘ বশেমুরকৃবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসাইন পিয়াস বলেন, 'আর্তমানবতার সেবায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘ বশেমুরকৃবি শাখা বরাবরই অগ্রগামী ছিল। ভবিষ্যতেও আমরা আমাদের এ সকল কার্যক্রম অব্যাহত রাখব ইনশাআল্লাহ। '
পুরো কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সবজি দোকানি হক মওলা। শুভার্থীদের সহযোগিতা করতে পেরে তিনি বলেন, 'আপনারা ভালো উদ্যোগ নিছেন। আপনাগোর উপকার করতে পারছি, দশজন মাইনষের পাশে দাঁড়াইতে পারছি, এর চেয়ে খুশির কিছু আমার কাছে নাই। আল্লাহ আপনাগো আরো দেয়ার সুযোগ দিক। ভবিষ্যতে কখনো দরকার পড়লে ডাকবেন, আল্লাহ বাঁচাইয়া রাখলে সব সময় পাশে পাবেন ইনশাআল্লাহ। '
কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক নূরুজ্জামান শাকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসাইন পিয়াস, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ হাসান, দপ্তর সম্পাদক প্রতীক কুমার ঘোষ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিনা আক্তার, সহ-কোষাধ্যক্ষ মেহেদী হাসান, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মো. আলামিন রানা, সদস্য নাসিমুজ্জামান সাব্বিরসহ আরো অনেকে।