<p>কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটা শরীর থেকে টক্সিন এবং অতিরিক্ত পানি বের করে, শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিডনি সুস্থ রাখতে নিয়মিত কিছু অভ্যাস মেনে চলা প্রয়োজন। </p> <p><strong>পর্যাপ্ত পানি পান করুন</strong><br /> প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা কিডনির ভালো রাখতে সাহায্য করে। পানি কিডনি থেকে টক্সিন অর্থাৎ বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। পানি কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।</p> <p><strong>সুষম খাবার খান</strong><br /> প্রোটিন, শাকসবজি, ফলমূল এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খান। কিডনি সুস্থ রাখতে লবণ, চিনি এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারের পরিমাণ কমানো জরুরি। কারণ এগুলো কিডনির ওপর চাপ তৈরি করতে পারে।</p> <p><strong>রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন</strong><br /> উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি।</p> <p><strong>নিয়মিত ব্যায়াম করুন</strong><br /> শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে কিডনি ভালো থাকে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।</p> <p><strong>ধূমপান ও অ্যালকোহল ছেড়ে দিন</strong><br /> ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এগুলো রক্তনালি সংকুচিত করে। যার ফলে কিডনির রক্ত সরবরাহ কমে যায়। তাই অ্যালকোহল ও ধূমপান সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন।</p> <p><strong>ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন</strong><br /> ডায়াবেটিস থাকলে কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি বেশি থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখলে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। চিনি ও শর্করাযুক্ত খাবার কম খান।</p> <p><strong>অযথা ব্যথানাশক ওষুধ নয়</strong><br /> অনেক ব্যথানাশক ওষুধ কিডনির ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিয়মিত ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকুন।</p> <p><strong>ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন</strong><br /> অতিরিক্ত ওজন কিডনির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। তাই সঠিক ওজন বজায় রাখা কিডনি সুস্থ রাখার জন্য জরুরি। </p> <p><strong>নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করুন</strong><br /> কিডনি রোগে পারিবারিক ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরিবারের কারো—যেমন বাবা-মা, দদা-দাদি, নানা-নানির যদি কিডনি রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে আপনার কিডনি রোগ হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে বেশি। এমন ইতিহাস থাকলে নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো জরুরি।</p> <p><strong>পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন</strong><br /> পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের সব অঙ্গের মতো কিডনিরও কার্যকারিতা ঠিক রাখে। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন।</p> <p>কিডনি আমাদের শরীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এর যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। সুস্থ জীবনযাপন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে কিডনি ভালো রাখা সম্ভব।</p> <p>সূত্র : ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন, যুক্তরাষ্ট্র</p>
