<p>সাপ মাংসাশী, তাই সাপের খাদ্যতালিকা প্রধানত মাংসভিত্তিক। এরা পোকামাকড়, ছোট প্রাণী, এমনকি অন্যান্য সাপও খায়।এরা দুধ হজম করতে পারে না।দুধ সাপের শরীরে ল্যাকটোজ নামক এনজাইম নেই দরকার হয়। এই দুধ হজম করতে সাহায্য করে।মানুষ বা অন্যান্য স্তন্যপায়ীর শরীরের ল্যাবটোজ থাকলেও, সাপের দেহে এই এনজাইম থাক না। তাই সাপ দুধ সাপের হজম করতে পারে না।</p> <p>অনেকে মনে করেন সাপ গরুর ওলান থেকে দুধ খেয়ে যায়। তাই গরুর ওলান ফোলানে ফুসকুড়ির মতো দাগ দেখা যায়। এবং ওলান ফুলে ওঠে। গরুর ওলান ফোলার কারণ সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। দুধ দোহানোর পর ওলান না ধুলে, এমনকী গরুর বাছুর দুধ খাওয়ার পর ওলান ধোয়া হয় না। ফলে ওলানে দুধ লেগে থাকে। লেগে থাকা সেই দুধে ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। তাই ওলান ফুলে যায়, ওলানে লাল লাল দাগ দেখা যায়।</p> <p>অনেকে মনে করেন নাগপঞ্চমীতে সাপের দুধ খাওয়ার ঘটনা সত্যিই ঘটে। সাপ তৃষ্ণার্ত হয়ে দুধকে পানি করে পান করে পান করে ফেলতে পারে। কিন্তু সেটা সাপের জন্য ক্ষতিকর। এমনকী হজম না করতে পারার কারণে ফুড পয়জনিং হয়ে সাপ মারাও যেতে পারে। </p> <p>সাপ কোনা ফল খায় না।তাই কলা খাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সুতরাং সাপের দুধ-কলা খাওয়া নিয়ে যে ধারণা রয়েছে, তা সম্পূর্ণ কুসংস্কার।সাপুড়েরা তৃষ্ণার্ত সাপকে পানির বদলে দুধ খাইয়ে সাপের প্রতি অত্যাচার করে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনী ও দণ্ডনীয় অপরাধ। অনেকেই বিজ্ঞানসম্মত তথ্য না জানার কারণে এই ধরনের ভুল ধারণা পোষণ করে।</p> <p>সাপ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের সংরক্ষণ করা জরুরি।অনেক মানুষ সাপকে ভয় পায়। এই ভয় কাটিয়ে উঠতে সঠিক তথ্য জানা জরুরি।সাপের কামড়ের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া জানা উচিত।সাপ সম্পর্কে বিভিন্ন কুসংস্কার রয়েছে। বিজ্ঞানসম্মত তথ্য জানার মাধ্যমে আমরা এই কুসংস্কারগুলো দূর করতে পারি এবং প্রাণীর প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ বাড়াতে পারি।<br />  </p>