<p>আমাদের দৃশ্যমান আলোর মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। আর যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বড় সেই আলো তার শক্তি ধরে রেখে বহুদূর পাড়ি দিতে পারে।</p> <p>অন্যদিকে বেগুনী আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হওয়ায় এর কম্পাঙ্ক সবচেয়ে বেশি। বেশি কম্পাঙ্কের আলো ঘন ঘন স্পন্দনের ফলে এক সময় শক্তি হারিয়ে ফেলে। ঠিক যেখানে এই সম্পূর্ণ শক্তি হারায় সেখান থেকে ওই আলো আর দেখা যায় না। </p> <p>সূর্য থেকে যে শক্তি নিয়ে সাদা আলো বের হয় তা নিয়ে দিনের অন্যভাগে সবটুকু আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্য আমাদের থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করে। এ সময় সূর্যালোকে পৃথিবীতে পৌঁছাতে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়। লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এই পথটুকু পাড়ি দিয়ে আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু অন্যান্য আলোকরশ্মিগুলো মাঝপথেই তাদের শক্তি হারিয়ে ফেলে ধ্বংস হয়ে যায়। তাই তারা আমাদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না।</p> <p>সুতরাং শুধু লাল আলোই আমাদের দেখতে হয়। এ কারণে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখায়।<br />  </p>