<p> </p> <p><strong>তড়িৎবিশ্লেষণ (electrolysis)</strong></p> <p>তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণের মধ্যদিয়ে তড়িৎ প্রবাহের ফলে যে রাসায়নিক বিয়োজন ঘটে তাকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলা হয়। অর্থাৎ তড়িতের রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর। পানির তড়িৎবিশ্লেষণ করা হলে প্রথমে H<sup>+</sup> ও OH<sup>- </sup>আয়নে ভেঙে যাবে। একটি কোষ বা ব্যাটারি থেকে দুটো তড়িৎদ্বার (অ্যানোড ও ক্যাথোড) পানিতে স্থাপন করা হয়। ঋণাত্বক তড়িৎদ্বারে H<sup>+</sup> ও ধনাত্বক তড়িৎদ্বারে OH<sup>-</sup> আকৃষ্ট হয়।</p> <p>প্রথম আয়নটি একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে হাইড্রোজেন গ্যাস হয়। দ্বিতীয় আয়নটি ইলেকট্রন ছেড়ে দিয়ে অক্সিজেনে পরিণত হয়। যদিও বিশুদ্ধ পানি তড়িৎ কুপরিবাহি। সামান্য NaCl যোগ করলে বিশ্লেষণটি ঘটে।</p> <figure class="image"><img alt="পানির তড়িৎবিশ্লেষণ" height="450" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/RONY/7130372157173119045197617.png" width="423" /> <figcaption>পানির তড়িৎবিশ্লেষণ</figcaption> </figure> <p>এখানে অ্যানোড অ্যানায়নকে আকর্ষণ করে এবং ক্যাথোড ক্যাটায়ন। তড়িৎবিশ্লেষণ মূলত ধাতু নিষ্কাশনে ব্যবহার হয়। অ্যালুমিনিয়াম, সোডিয়াম, লিথিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম  এবং কপার এই পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয়। মরিচীকা প্রতিরোধে এক ধাতুর ওপর আরেক ধাতুর প্রলেপ দেওয়ার জন্যও এই পদ্ধতি জনপ্রিয়।</p> <p>লেখক: শিক্ষার্থী, রসায়ন বিভাগ, ঢাকা কলেজ</p>