ছবি-সংগৃহীত
এই শহরে কাকেরা এখন মোটেই নিরাপদ নয়
নিরাপদ নয় ছাল চুল ওঠা ভবঘুরে কোনও কুকুরও
করোনার কারণে হোটেল রেস্তোরা বন্ধ
উচ্ছিষ্ট খাবারের ডাস্টবিনগুলো শূন্য পড়ে থাকে
কাক কুকুরেরা রাজত্বহারা অভুক্ত থাকে প্রতিদিন।
বাস টার্মিনাল লঞ্চঘাট নদীবন্দরে ভবঘুরে ভিক্ষুকের দেখা মেলেনা আর
রেল জংশন ফেরিঘাটে ঐতিহাসিক নাচগান হয়না ভবঘুরে পাগলের
বাসগুলো নিরাপদে বিশ্রামে আছে মালিকের গ্যারেজে
যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো স্টেশনে ইয়ার্ডে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে
করোনার উপদ্রব কবে থামবে, মরবেনা মানুষ “সেই জানে।
কবে বাস চালু হবে, ট্রেন যাবে গন্তব্যস্থলে আবার
টার্মিনালে মানুষের ওঠানামা শুরু হবে বাসে
ট্রেনের সিটগুলো মানুষে ভরে যাবে,
শহরে দোকানপাট হোটেল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলবে আবার
কাকেরা ফিরে আসবে চেনা শহরে কুকুরেরা মুখ রাখবে ডাস্টবিনে।
একদিন এই শহরে কুকুরদের রাজত্ব ছিলো
ডাস্টবিনগুলো দখলে রেখেছিলো পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত অধিকারে
যেমনটি চলে এসেছে আদিকাল থেকে গোত্র সম্প্রদায়ে মানুষের
কাকেদের রাজত্বে কেউ ঢুকে পড়লে তাড়িয়ে নিয়ে যেত
সীমানা অতিক্রম করা অন্যদেশে ঢুকে পরা
বিমান বৈমানিকরা তাড়া খেয়ে যেভাবে ফিরে যায়।
মানুষ মরছে যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র আর সারাবিশ্বে
বাঙালিরা মরছে দেশে, দেশের বাইরে বিশ্বময়
মায়ের স্নেহ বাবার আদর প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালোবাসা
সব হারিয়ে একাকী বিদেশ বিভূঁইয়ে বুকের ভেতর নীলরঙের কষ্ট
মৃত্যুটা তার বিশ্বরুপ পায়।
বাঙালিরা মরছে দেশে দেশের বাইরে বিশ্বময়
মায়ের স্নেহ বাসায় আদর প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালোবাসা
সব হারিয়ে বুকের ভেতর নীল রঙের কষ্ট
মৃত্যুটা তার বিশ্বরুপ পায়।
মন্তব্য