<p>দেশজুড়ে প্রখর দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা। শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই সূর্যের অসহনীয় তাপমাত্রার দাপটে মানুষ কার্যত নাকাল। যারা প্রয়োজনবশত রাস্তায় নামছেন, তাদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে একাধিক শারীরিক সমস্যার। এই সময় সবচেয়ে বড় বিপদের নাম হিটস্ট্রোক। চিকিৎসকদের মতে, এটি একটি গুরুতর মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি, যা অবহেলা করলে প্রাণঘাতী হতে পারে। অত্যধিক গরমে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিটস্ট্রোক বলা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে তীব্র রোদের মধ্যে কাজ বা চলাফেরা করলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।</p> <p>বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা হিটস্ট্রোকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন :</p> <p>১। শিশু<br /> ২। বয়স্ক ব্যক্তি<br /> ৩। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি<br /> ৪। শ্রমজীবী ব্যক্তি<br /> ৫। যাদের ওজন বেশি<br /> ৬। যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ, বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।</p> <p>হিটস্ট্রোকের কিছু সাধারণ লক্ষণ : তীব্র মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব বা বমি, শ্বাসকষ্ট</p> <p>হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়</p> <p>১। দিনের বেলায় যথাসম্ভব বাইরে বের না হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বের হলেও রোদ এড়িয়ে চলা জরুরি।</p> <p>২। বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা, সানগ্লাস ব্যবহার করা ভালো। মাথা টুপি-ক্যাপ বা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।</p> <p>৩। প্রচুর পানি ও তরল পান করুন।</p> <p>৪। গরমকালে ঢিলা ও হালকা রঙের সুতির পোশাক পরুন।</p> <p>৫। দিনের বেলায় একটানা শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকুন।</p> <p>৬। এ সময় বাইরের খাবার না খাওয়াই ভালো।</p> <p>৭। সম্ভব হলে একাধিকবার গোসল বা মুখে পানির ঝাপটা দিতে পারেন।</p> <p>৮। প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন। তা হলুদ বা গাঢ় হলে পানি পানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।</p> <p>৯। বেশি অসুস্থ বোধ করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।    </p> <p>সূত্র : আইসিডিডিআর বি</p>