<p>আধুনিক যুগে রোগবালাই যেন বেড়েই চলছে। খারাপ জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের ফলে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, ইউরিক এসিড, থাইরয়েডের মতো নানা রোগ আমাদের শরীরে হানা দেয়। সেরকম ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ।</p> <p>আবার বহু মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে হিমোফিলিয়ার মতো জন্মগত রোগ। কী এই হিমোফিলিয়া? এর লক্ষণগুলো কী কী? কেন হয় এই রোগ? তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।</p> <p><strong>হিমোফিলিয়া কী</strong></p> <p>হিমোফিলিয়া এমন একটি রোগ যাতে রক্ত জমাট বাঁধতে সমস্যা হয়। এই রোগে রক্ত সহজে জমাট বাঁধে না। একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে গেলে, কেউ আঘাত পেলে বা কেটে গেলে তার রক্তপাত বন্ধ হয় না এবং প্রবাহিত হতে থাকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কামরাঙার অনেক গুণ, দূরে থাকবেন যারা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/04/16/1744810605-dc13002bdfb26eccea09269c23b40194.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কামরাঙার অনেক গুণ, দূরে থাকবেন যারা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2025/04/16/1505042" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই রোগটি জেনেটিক (জন্মগত), অর্থাৎ এই রোগটি বাবা- মায়ের থেকে শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ বিষয় হলো, হিমোফিলিয়া বেশিরভাগই ছেলেদের হয় এবং যাদের এই রোগ আছে তাদের সামান্য আঘাতেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে পারে।</p> <p><strong>কেন হিমোফিলিয়া হয়</strong></p> <p>আপনার শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় ‘ক্লটিং ফ্যাক্টর’ হয় কম বা একেবারেই তৈরি না হলে হিমোফিলিয়া রোগটি হয়। যদিও এটি একটি জেনেটিক রোগ, কিছু ক্ষেত্রে এই রোগটি কোনো পারিবারিক ইতিহাস ছাড়াই হতে পারে।</p> <p><strong>হিমোফিলিয়ার লক্ষণগুলো কী কী</strong></p> <p>আপনার হিমোফিলিয়া আছে কী না, তা বোঝার জন্য এর লক্ষণগুলো জানা জরুরি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কাজুবাদামেরও রুটি হয় নাকি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/03/29/1743245206-6c4bead427f9064bf25be400061158e4.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কাজুবাদামেরও রুটি হয় নাকি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2025/03/29/1498492" target="_blank"> </a></div> </div> <ul> <li>হিমোফিলিয়ার প্রথম ও সাধারণ লক্ষণ হলো, আঘাত বা কাটার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে।</li> <li>অনেক সময় এই রোগের কারণে শরীরের জয়েন্টগুলো (বিশেষ করে হাঁটু, কনুই ও গোড়ালি) ফুলে যায়, ব্যথা হয় এবং হাঁটতে অসুবিধা হয়।</li> <li>যদিও প্রস্রাব বা মলে রক্তপাত অর্শের লক্ষণ, তবে হিমোফিলিয়ার ক্ষেত্রেও এটি হতে পারে। এর পাশাপাশি, আপনার নাক থেকে ঘন ঘন বা অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে।</li> <li>এই রোগে প্রচুর রক্ত প্রবাহিত হয়, যার কারণে শরীরে রক্তের ঘাটতি হয়। ফলে রোগী খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন।</li> <li>কোনো নারীর হিমোফিলিয়া থাকলে পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হয়। </li> </ul> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বৃষ্টির সময়ে আড্ডার সঙ্গী হতে পারে যেসব খাবার" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/04/16/1744804175-e3176f694febc6edd84700c14d536277.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বৃষ্টির সময়ে আড্ডার সঙ্গী হতে পারে যেসব খাবার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2025/04/16/1504991" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>হিমোফিলিয়ার চিকিৎসা কীভাবে করা যায়</strong></p> <p>হিমোফিলিয়া একটি জেনেটিক রোগ, তাই এর স্থায়ী কোনো চিকিৎসা নেই। তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।</p> <p><strong>ক্লটিং ফ্যাক্টর থেরাপি :</strong> শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এমন পদার্থ শরীরে প্রবেশ করানো হয়।</p> <p><strong>রক্তপাত বন্ধ করার ওষুধ :</strong> কিছু ওষুধ রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়, বিশেষ করে যখন নাক বা মুখ থেকে রক্তপাত হয়। এগুলো রক্তপাত বন্ধ করতে পারে।</p> <p><strong>জিন থেরাপি :</strong> জিন থেরাপি নামে একটি নতুন কৌশল দিয়েও হিমোফিলিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে শরীরে সঠিক জিন প্রবেশ করানো হয়, যাতে শরীর নিজে থেকেই জমাট বাঁধার উপাদান তৈরি করতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/04/09/1744216457-b97713db6f6205d4deb21e19ff647279.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2025/04/09/1502280" target="_blank"> </a></div> </div> <p>হিমোফিলিয়ার কোনো লক্ষণ শরীরে দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।</p> <p>সূত্র : আজতক বাংলা</p>