<p>স্নায়ুতন্ত্র দেহের প্রতিটি ক্রিয়া, প্রতিক্রিয়া, মনন, চিন্তার উৎস। ফলে স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রম শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।</p> <p>তবে দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে ভুলগুলো করি, তার মধ্যে কিছু ভুল স্নায়ুতন্ত্রের নানা ক্ষতি করতে পারে। কী সেই ভুল, তা জানুন আজকের প্রতিবেদনে।</p> <p><strong>হেডফোন ব্যবহার</strong></p> <p>হেডফোন দিয়ে ফুল সাউন্ডে গান শুনলে কানের সংবেদনশীল স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে। অনেকক্ষণ ধরে জোরে আওয়াজ শুনলে শ্রবণশক্তি স্থায়ীভাবে কমে যায়। তা ছাড়া এটি ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়। ভলিউম ৬০% এর চেয়ে কম হওয়া উচিত। হেডফোনে গান শুনলেও তার মাত্রা যেন সীমায় থাকে। একটানা হেডফোন ব্যবহারও মোটেই উচিত নয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/03/18/1742294289-8ce7b02ee5d6f88aa6bd4343b0a28d6d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2025/03/18/1493958" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>ঘুমানোর আগে ফোন ব্যবহার</strong></p> <p>ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোন ব্যবহার ঠিক নয়। অনেকেরই অভ্যাস আছে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটু স্ক্রল করা। কিন্তু এটা আপনার স্নায়ুর বড় শত্রু। ফোনের স্ক্রিন থেকে নীল আলো মেলাটোনিন হরমোন কমিয়ে দেয়। </p> <p>চোখের কষ্ট না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়া খুব প্রয়োজন। ঠিকমতো ঘুম না হলে স্নায়ুর প্রদাহ হতে পারে এবং মস্তিষ্ক অসাড় হয়ে যেতে পারে। ঘুমের ঠিক আগে ফোন রেখে ভালো বই পড়তে পারেন, ধ্যান করতে পারেন। এতে মস্তিষ্ক শান্ত হয় এবং ভালো ঘুম হয়।</p> <p><strong>ব্যথানাশক ওষুধ</strong></p> <p>আইবুপ্রোফেন ও প্যারাসিটামলের মতো ব্যথানাশক ওষুধ সাময়িকভাবে ব্যথা হ্রাস করতে পারে। তবে এগুলো যদি খুব বেশি ব্যবহার করা হয়, তাহলে ‘রিবাউন্ড হেডক্স’ আসবে। যার অর্থ আপনার শরীর এই ওষুধগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। আপনি যদি এগুলো বন্ধ করেন তবে তা স্নায়ুতন্ত্রের ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/03/18/1742304156-7ebec9a8854ab335c231748158532056.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মা-বাবার যেসব ভুলে ওজন বাড়ে সন্তানের</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2025/03/18/1494009" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>হাঁচি বন্ধ করবেন না</strong></p> <p>হাঁচি জোর করে বন্ধ করলে চাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং মাথার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি ছোট ছোট রক্তনালীও ভেঙে যেতে পারে। অনেক সময় কান ও গলায়ও আঘাত পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। আপনি যদি হাঁচি দেন তবে হাঁচি দেওয়া নিরাপদ। এতে শরীরের প্রদাহ দূর হয়।</p> <p><strong>শরীর ম্যাসাজ</strong></p> <p>ম্যাসাজার দিয়ে গলায়, কাঁধে ম্যাসাজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে যদি ঘাড়ে চাপ পড়ে তাতে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে বাধা পায়, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় এবং স্নায়ুর ক্ষতিও করে। ঘাড় ব্যথার জন্য সহজ স্ট্রেচিং করা উচিত বা একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/03/16/1742130922-8c1b5c3a280f7c32c889edce977b0310.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2025/03/16/1493187" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>ভারসাম্য অনুশীলন</strong></p> <p>ব্যালেন্স এক্সারসাইজ সম্পর্কে বেশির ভাগ মানুষেরই তেমন ধারণা নেই। তবে এগুলো পড়ে যাওয়া থেকে রোধ করার জন্য, মস্তিষ্ক ও শরীর উভয়েই যুগ্ম কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এক পায়ে দাঁড়ানো, যোগব্যায়াম ইত্যাদি করলে স্নায়ু শক্তিশালী হয় এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে। </p> <p>সূত্র : নিউজ ১৮</p>