<p>জ্বর-সর্দি বা পেট খারাপ হলেই ফার্মেসি থেকে যেকোনো অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাওয়া হচ্ছে। শুধু নিজেই খাচ্ছেন না, বাড়ির শিশুদের চিকিৎসায়ও অহরহ দিচ্ছেন এই অ্যান্টিবায়োটিক। আর তাতে কী বিপদ হতে যাচ্ছে, তা টের পাচ্ছেন না বেশির ভাগই।</p> <p>বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে নবজাতক মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো, শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা রেজিস্ট্যান্স তৈরি হওয়া। যার পিছনে রয়েছে অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ।</p> <p>অত্যধিক অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগের কুপ্রভাব যে কেমন তা জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিবেদনে। সংস্থাটি জানিয়েছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অল্প সময়ের ব্যবধানে এত ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে রোগ সারানোর চেষ্টা হিতে বিপরীত হচ্ছে। পরিণামে বাড়ছে দুর্ভোগ। নিরাময়যোগ্য অসুখও চেনা ওষুধে সারছে না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতে প্রোটিনের অভাবে হতে পারে যে ক্ষতি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/30/1738218971-46610c294c41849aadf43e957fd90cc1.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতে প্রোটিনের অভাবে হতে পারে যে ক্ষতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2025/01/30/1474711" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সাধারণত মৌসুম বদলের সময়ে জ্বর-সর্দিকাশিতে বেশি ভোগে শিশুরা। বেশির ভাগ জ্বরের কারণই ভাইরাস। সাধারণভাবে ভাইরাস শরীরে ১৪ দিনের বেশি কখনোই থাকে না। কিন্তু ভাইরাসঘটিত অসুখেও অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে শিশুকে। ব্যাক্টেরিয়াঘটিত অসুখ সারাতেই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ হয়। কাজেই অসুখ কী কারণে হয়েছে তা না জেনে ওষুধ খাইয়ে দেওয়ার এই প্রবণতাই বিপদ ডেকে আনছে।</p> <p>মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, যত খুশি যেমন খুশি অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে প্রবেশ করিয়ে এর আসল কার্যকারিতাই নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। খোলা বাজারে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি চলছে। এর জেরে ওষুধ কেনার জন্য কোনো রকম বাধা-নিষেধই নেই। ফলে ইচ্ছেমতো ওষুধ কিনে খাওয়ার উপায় রয়েছে। এ ছাড়া ওষুধ কিনলেও পুরো কোর্স শেষ করেন না বেশির ভাগই। অসুখ ভালো হলেই ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। ফলে শরীরে প্রবেশ করা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে জীবাণুগুলো কিছু দিন ঝিমিয়ে গেলেও কয়েক দিন পর ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতে যে তেলের মালিশ করলে শিশুর পেশি হবে শক্তিশালী" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/30/1738228355-7434b0ed74296a1839630e94c48c8481.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতে যে তেলের মালিশ করলে শিশুর পেশি হবে শক্তিশালী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2025/01/30/1474759" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তেল মালিশ</p> <p>এর ফলে কোনো কোনো ব্যাক্টেরিয়া তার চরিত্র বদলে আরো সংক্রামক হয়ে ওঠে, যা অ্যান্টিবায়োটিককে প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে। <br /> এসব সমস্যার জন্য ভীষণ জরুরি অ্যান্টিবায়োটিকের ওপর নির্ভরতা কমানো। কোন পর্যায়ে রোগীকে কী অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হবে, তার সুনির্দিষ্ট নীতিকে বলে অ্যান্টিবায়োটিক প্রোটোকল। তা মেনে চলতেই হবে। আর চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে কোনোরকম ওষুধ খাওয়াই উচিত হবে না।</p> <p>সূত্র : আনন্দবাজার</p>