<p>স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কের রক্তনালির রোগ। মস্তিষ্কের রক্তনালি বন্ধ হয়ে গেলে বা ফেটে রক্তক্ষরণ হলে স্ট্রোক দেখা দেয়।</p> <p>সে হিসেবে স্ট্রোক দুই প্রকার।</p> <p><strong>১. ইস্কেমিক স্ট্রোক :</strong> কোনো কারণে মস্তিষ্কের রক্তনালি বন্ধ হয়ে গেলে মস্তিষ্কের কোষ মারা যায়।</p> <p>এতে দেখা দেয় নানা ধরনের লক্ষণ। এটাই ইস্কেমিক স্ট্রোক।</p> <p><strong>২. হেমোরেজিক স্ট্রোক :</strong> মস্তিষ্কের রক্তনালি কোনো কারণে ছিঁড়ে গেলে মস্তিষ্কে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। একে বলে হেমোরেজিক স্ট্রোক।</p> <p><strong>লক্ষণ</strong></p> <p>স্ট্রোকের মূল লক্ষণগুলো সহজ করে মনে রাখা যায় ফাস্ট নামে। ফেসিয়াল এসেমিট্রি বা মুখ একদিকে বেঁকে যাওয়া, আর্ম বা বাহুতে দুর্বলতা, স্পিচ ডিফিকাল্টি বা কথা জড়িয়ে যাওয়া—এগুলো হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।</p> <p>এ ছাড়া আরো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন—তীব্র মাথা ব্যথার সঙ্গে বমি, চোখে দেখার সমস্যা, খিঁচুনি, ব্যালান্স রাখা সমস্যা, হাঁটার সমস্যা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরানো ইত্যাদি।</p> <p><strong>চিকিৎসা</strong></p> <p>স্ট্রোকের চিকিৎসাকে দুইভাবে ভাগ করা যায়।</p> <p>ইস্কেমিক স্ট্রোকে রক্ত তরল করার ওষুধ যেমন এসপিরিন দিতে হয়। তবে সিকেল সেল এনিমিয়াতে এটি দেওয়া যায় না। রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হয়। এ ছাড়া স্ট্রোকের কারণ খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হয়।</p> <p>হেমোরেজিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে এনজিওগ্রাম করে কারণ বের করে চিকিৎসা করতে হয়।</p> <p>যেমন, এনিউরিজম থাকলে রক্তনালির ফোস্কা কয়েলিং বা ক্লিপিংয়ের মাধ্যমে বন্ধ করে দিতে হয়। এভিএম থাকলে গ্লু দিয়ে অস্বাভাবিক রক্তনালি বন্ধ করে দিতে হয়। ময়াময়া রোগের চিকিৎসা সার্জারির মাধ্যমে করতে হয়।</p> <p>শিশুদের স্ট্রোকের চিকিৎসা বাংলাদেশে হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস) হাসপাতালে শিশু নিউরোলজি ও শিশু নিউরোসার্জারির আলাদা বিভাগ আছে।</p> <p> </p> <p><strong>পরামর্শ দিয়েছেন</strong></p> <p>ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু</p> <p>সহকারী অধ্যাপক</p> <p>ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিভাগ</p> <p>ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস), আগারগাঁও, ঢাকা।</p>
