<p style="text-align: justify;">বেশির ভাগ চোখের আঘাত তুচ্ছ ধরনের। যেমন—চোখে সাবান লাগা বা চোখের পাতার নিচে কাদা ময়লা আটকে থাকা এসব। তবে কখনো কখনো বিশেষত খেলাধুলার সময় শিশু চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়ে বসতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হলো—</p> <p style="text-align: justify;"><strong>লক্ষণসমূহ</strong></p> <p style="text-align: justify;">- চোখ লাল অবস্থা</p> <p style="text-align: justify;">- চোখে জ্বালাপোড়া ভাব</p> <p style="text-align: justify;">- পানি পড়া</p> <p style="text-align: justify;">- আলোতে খচখচ অনুভূতি</p> <p style="text-align: justify;">- চোখের পাতা ফুলে যাওয়া</p> <p style="text-align: justify;">- অক্ষিগোলকের চারপাশে রঙের পরিবর্তন</p> <p style="text-align: justify;"> </p> <p style="text-align: justify;"><strong>কী করা উচিত?</strong></p> <p style="text-align: justify;">সামান্য সমস্যা যেমন ময়লা, কাদা-বালি ইত্যাদি লেগে গেলে, চোখে ভালোভাবে পানির ছিটা দিতে হবে। তবে অন্য কিছু ভেতরে আটকে গিয়ে ক্ষত তৈরি করলে, পানির প্রবাহ ব্যতিরেকে অন্য কোনোভাবে তা সরাতে চেষ্টা না করা।</p> <p style="text-align: justify;"> </p> <p style="text-align: justify;"><strong>এসব পদক্ষেপ নিতে হবে—</strong></p> <p style="text-align: justify;">- শিশুর চোখে হাত লাগানোর আগে নিজের হাত ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া।</p> <p style="text-align: justify;">- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চোখে পানির ধারা দিতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">- আস্তে করে চোখের নিচের পাতা নিচের দিকে টেনে নিতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">- এরপর ঈষদুষ্ণ পরিষ্কার পানিতে চোখ ধুয়ে দেওয়া।</p> <p style="text-align: justify;">- ১৫ মিনিট ধরে এভাবে পানির ধারা দিতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">- আর প্রতি ৫ মিনিট পর পরীক্ষা করে দেখা ওই বস্তুটি চলে গেছে কি না।</p> <p style="text-align: justify;"> </p> <p style="text-align: justify;"><strong>মেডিক্যাল ব্যবস্থাপনা যদি—</strong></p> <p style="text-align: justify;">- যদি বল বা অন্য কোনো বস্তুর আঘাত সরাসরি চোখে লাগে।</p> <p style="text-align: justify;">- চোখ লাল বা চোখে খচখচ অবস্থা।</p> <p style="text-align: justify;">- চোখে অস্বস্তি।</p> <p style="text-align: justify;">- চোখে বা এর চারপাশে ফোলা, ব্যথাযুক্ত ও লাল।</p> <p style="text-align: justify;">- চোখে আলো পড়লেই অসহ্য লাগে।</p> <p style="text-align: justify;"> </p> <p style="text-align: justify;"><strong>জরুরিভাবে চোখের চিকিৎসক দেখানো যদি—</strong></p> <p style="text-align: justify;">- দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।</p> <p style="text-align: justify;">- চোখে কেমিক্যাল পড়ে।</p> <p style="text-align: justify;">- চোখে কিছু ঢুকে গেছে মনে হলে।</p> <p style="text-align: justify;">- চোখে মারাত্মক ব্যথা অনুভূত হচ্ছে।</p> <p style="text-align: justify;">- চোখে রক্ত।</p> <p style="text-align: justify;">- চোখে আঘাতের পর বমি বমি ভাব বা বমি হচ্ছে।</p> <p style="text-align: justify;"> </p> <p style="text-align: justify;"><strong>প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা—</strong></p> <p style="text-align: justify;">- কেমিক্যাল বা বিষাক্ত পদার্থ শিশুর নাগালের বাইরে রাখা।</p> <p style="text-align: justify;">- খেলাধুলার সময় শিশুর চোখে প্রতিরোধমূলক গগলস বা অভঙ্গুর চশমা পরানো।</p> <p style="text-align: justify;"> </p> <p style="text-align: justify;"><em>লেখক: প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী</em></p> <p style="text-align: justify;"><em>সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল</em></p> <p> </p>