<p>থাইরয়েড সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে রাজধানীতে তিন দিনব্যাপী থাইরয়েড মেলার আয়োজন করেছে দি থাইরয়েড সেন্টার ও বিটমির। এ মেলায় ৩০০ টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া দরিদ্র ও এক বছরের কম বয়সী শিশুদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। </p> <p>বুধবার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর দ্য থাইরয়েড সেন্টারের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেসের (নিনমাস) বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল বারী।</p> <p>এ সময়ে তিনি বলেন, জনসচেতনা তৈরি করার লক্ষ্যে দি থাইরয়েড সেন্টার লিমিটেড ও বিটমির ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর নিয়মিতভাবে থাইরয়েড মেলার আয়োজন করে আসছে।  </p> <p>ডা. এ কে এম ফজলুল বারী জানান, মেলার প্রথম দিনে দেড় শতাদিক থায়রয়েড রোগী আসেন চিকিৎসার জন্য। লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে তিন হাজার থাইরয়েড রোগীকে স্বল্পমূল্যে ও বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হবে।</p> <p>মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসাকরা জানান, জীবনে চারটি সময়ে অবশ্যই থাইরয়েড স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন। প্রথমত জন্মের পরপরই, দ্বিতীয়ত বয়ঃসন্ধিকালে, এ ছাড়াও মায়েদের গর্ভধারণের পূর্বে ও বয়স ৪০ হওয়ার পরপর থাইরয়েড স্ক্রিনিং প্রয়োজন। সংবাদ সম্মেলনে রোগী ও রোগীর স্বজনদের থায়রয়েড রোগ সর্ম্পকে সচেতন করেন।</p> <p>অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুল বারী বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ কোন না কোন থাইরয়েড রোগে ভুগছেন।<br /> থায়রয়েড আক্রান্তদের মধ্যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেই নারী। প্রতি ২ হাজার ৩০০ শিশুর মধ্যে একজন জন্মগত থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে। এ সকল আক্রান্ত ব্যক্তির ৬৫ শতাংশই চিকিৎসা সেবার আওতায় নেই।</p> <p>তিনি বলেন, এক গবেষণায় দেখা গেছে থাইরয়েড রোগ বিস্তারে বংশগতির প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে দাদি, নানি বা মা এদের থাইরয়েডে সমস্যা থাকলে ৭০ শতাংশর ক্ষেত্রে শিশুদের ও আত্মীয়স্বজনদের থাইরয়েড সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আট শতাংশ রোগী সাব-ক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরোডিসম-এ ভুগছে, যার অধিকাংশই তাদের থাইরয়েড আছে তা জানে না।</p> <p>অনুষ্ঠানে জানানো হয়, থাইরয়েড রোগ ছোঁয়াচে নয়। থাইরয়েড সমস্যা নিয়মিত চিকিত্সায় রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে চিকিত্সার না নিলে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।  যদি হঠাৎ ওজন বেড়ে যায় বা কমে যায়, অতিরিক্ত ঘাম হয়, শীত বা গরম অসহ্য লাগে, শরীর ব্যথা করে, চুল পড়ে যায়, ত্বকের সমস্যা থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে থাইরয়েডের ঝুঁকিতে আছেন। এছাড়াও যদি বুক ধড়ফড় বা হাত/পা কাঁপে, গলার স্বর বসে যায়, পাতলা পায়খানা হয়, শারীরিক দুর্বলতা থাকে, নিঃসন্তান দম্পতি বা বারবার গর্ভপাত হয়, অনিয়মিত/কম/বেশি মাসিক হয়, তাহলে অবশ্যই থাইরয়েড পরীক্ষা করতে হবে।</p>