<article> <p style="text-align: justify;">ক্রনিক রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো কিডনির রোগ। কিডনির সুস্থতার ওপর খাবারের বেশ প্রভাব রয়েছে। কিডনি রোগীর খাবারদাবার কেমন হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা<b>. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক</b> অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ।</p> <p style="text-align: justify;">শরীর থেকে স্বাভাবিক বর্জ্য অপসারণ করে কিডনি। বর্জ্য ছেঁকে বের করার কাজ ভালোভাবে চললে সুস্থ থাকে কিডনি। ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং যখন-তখন ব্যথার ওষুধ সেবন করা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। দুটি মাত্র কিডনি এসবের বিষ সামলে উঠতে পারে না।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">কিডনি রোগ দেখা দিলে যে প্রশ্ন প্রথমেই সামনে আসে তা হলো, কী খাব আর কী খাব না? কারণ খাদ্যতালিকার সঙ্গে কিডনির সুস্থতার বেশ গভীর সম্পর্ক রয়েছে। অনেক নেফ্রোলজিস্ট ও পুষ্টিবিদ বেশ কঠিন খাদ্যতালিকা দিয়ে দেন। এর পেছনে যুক্তি হলো ক্রিয়েটিনিন, প্রস্রাবে অ্যালবুমিন ও জিএফআরের মাত্রা ঠিক রাখা।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><b>কিডনি রোগীর খাদ্যতালিকা যেমন হবে</b></p> <p style="text-align: justify;"><b>ফল : যেসব</b> ফলে পটাসিয়াম বেশি সেগুলো বাদ দিতে হবে। কিছু ফলে পটাসিয়ামের মাত্রা কম। কিডনিবান্ধব ফলের মধ্যে রয়েছে পেঁপে, পেয়ারা, নাশপাতি, আনারস। কলা ও ডাবের পানিতে পটাসিয়াম বেশি থাকে। এগুলো এড়িয়ে চলা ভালো।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><b>মাছ, মাংস ও ডাল : </b>প্রোটিন গ্রহণের মাত্রা কমাতে গিয়ে মাছ, মাংস বাতিল করা ঠিক নয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণমতো খেতে হবে। ডালেও প্রোটিন বেশি থাকে। ডাল খেতে হলে দুই ঘণ্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে এরপর রান্না করুন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><b>শাক-সবজি : </b>যেসব শাক-সবজিতে পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি সেগুলো দুই ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যেতে পারে। আবার সবজি সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়েও খেতে পারেন। গাজর, কমলা, আলু, টমেটোতে পটাসিয়াম বেশি থাকে বলে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;"><b>ভাত : </b>ডায়াবেটিস না থাকলে ভাতের পরিমাণ কমানোর প্রয়োজন নেই। তবে ব্রাউন রাইস বাদ দিতে হবে। বাইরের খাবার না খাওয়া ভালো। রং দেওয়া খাবার বাদ দিতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;"><b>প্রসেসড খাবার : </b>অনেক সময় রোগীকে ফসফরাসের মাত্রা কম রাখতে বলা হয়। প্রসেস করা, ডিপ ফ্রাইড ও প্যাকেটজাত খাবারে ফসফরাসের মাত্রা বেশি থাকে।</p> <p style="text-align: justify;"><b>পানি : </b>কিডনি যতক্ষণ ভালো আছে ততক্ষণ বেশি করে পানি পান করুন। কিডনি রোগ দেখা দিলে মেপে পানি পান করতে হবে। যেমন, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডি থাকলে রোগীকে দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া দুধ বা দই দিনে এক কাপের বেশি খাওয়া যাবে না। চর্বি, লবণ, চিনি ও মিষ্টি খাবার কম খেতে হবে।</p> </article>