<article> <p>প্রতিদিনের খাওয়াদাওয়ার হিসাব রাখতে এবং খাবার বেছে নিতে বাসায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে আমরা বলি ‌সেল্ফ মনিটরিং অব ব্লাড সুগার। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসায় খুবই প্রয়োজনীয়। এটি তাৎক্ষণিক রেজাল্ট দেয় এবং খাদ্য নির্বাচন, ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ এবং কতটুকু শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে সে ব্যাপারে ধারণা দেয়।</p> </article> <article> <p><b>রক্তে শর্করার পরিমাণ দুইভাবে মাপা যায় :</b></p> <p>১.  ল্যাবে পরীক্ষা, যেটি ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান করে থাকেন।</p> <p>২.  বাসায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা।</p> <p><b>কোনটি বেশি নির্ভুল তথ্য দেয়?</b></p> <p>বাসায় গ্লুকোমিটার দিয়ে মাপারে চেয়ে ল্যাবে পরীক্ষা অবশ্যই বেশি কার্যকর। সাধারণ গ্লুকোমিটার মেশিনগুলোর ফলাফল ল্যাব থেকে ২৫ শতাংশ কমবেশি হতে পারে।</p> </article> <p><b>যেসব কারণে স্ট্রিপ থেকে ভুল রেজাল্ট আসতে পারে :</b></p> <article> <p>* স্ট্রিপ নষ্ট বা মেয়াদোত্তীর্ণ হলে।</p> <p>* তাপমাত্রা বা আর্দ্রতার মাত্রা স্বাভাবিক না থাকলে।</p> <p>* পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত স্ট্রিপে না দিলে।</p> <p>* মিটারের সঙ্গে স্ট্রিপ না মিললে।</p> </article> <p>* যে রক্ত দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে তেল, অ্যালকোহল বা অন্য কিছু মিশে গেলে।</p> <article> <p>* মিটারের ব্যাটারি নষ্ট থাকলে।</p> <p>* যথাযথভাবে স্ট্রিপ মেশিনে না লাগানো হলে।</p> <p>* ব্লাড সুগার অনেক বেশি হলে (যেমন ৩০ মিলি মোল/লি হলে তা গ্লুকোমিটারে আসে না)।</p> <p><b>সঠিক ফলাফল পেতে করণীয়</b></p> <p>* স্ট্রিপ যথাযথ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার নির্ধারিত কনটেইনারে রাখতে হবে। কম তাপমাত্রায় টেস্ট স্ট্রিপ রাখতে হবে, মুখ বন্ধ করে। যে গ্লুকোমিটারের স্ট্রিপ সেটা সেই মেশিনেই ব্যবহার করতে হবে।</p> </article> <article> <p>* অ্যালকোহল প্যাড দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে তা শুকানোর পরে টেস্ট করতে হবে। এর আগে ভালো করে হাত পরিষ্কার করতে হবে।</p> <p>* মনিটরে ভালোভাবে স্ট্রিপ ঢুকাতে হবে। যথাযথ জায়গায় রক্ত দিতে হবে।</p> <p>*   যথাযথ পরিমাণ রক্ত একবার দিতে হবে। একবারে রক্ত কম হলে পরে রক্ত যোগ করা যাবে না।</p> <p>* ব্লাড সুগার (হাই এলে) ল্যাব পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে।</p> <p>এত বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও বাসায় নিজে নিজে চার বেলা ব্লাড সুগার মাপার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর কারণ হলো :</p> <p>* ব্লাড সুগার টার্গেটে রাখা যায়।</p> <p>* হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা ব্লাড সুগার বেশি কমে যাওয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।</p> <p>* হাইপারগ্লাইসেমিয়া হতে শরীরে এসিড উৎপন্ন হওয়া (ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিস) প্রতিরোধ করে।</p> <p>*   কতটুকু খাবার খাবে বা শরীরচর্চা করবে, ইনসুলিন বা ওষুধের ডোজ নেবে তা নির্ধারণ করা সহজ হয়।</p> <p>* গর্ভাবস্থায় ব্লাড সুগার টার্গেট রাখা সম্ভব হয়।</p> <p>কিছু ত্রুটি থাকলেও ব্লাড সুগার টার্গেটের মধ্যে রাখতে বাসায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার বিকল্প নেই।</p> <p>পরামর্শ দিয়েছেন</p> <p><b>ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম</b></p> <p>ডায়াবেটিস থাইরয়েড ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ</p> <p>ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মালিবাগ, ঢাকা</p> </article>