<p>কভিড-১৯ অতিমারি ছড়িয়ে পড়ার পর পৃথিবীব্যাপী অর্থনীতি ধসে পড়েছে। বহু দেশে বেড়েছে বেকারত্ব। চাকরি হারিয়েছেন অনেকেই। তবে এ সময়টাতে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কদর বেড়েছে বহুগুণ। আন্তর্জাতিকভিত্তিক অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অ্যামাজন কিংবা আলিবাবার মুনাফা বৃদ্ধির খবরই প্রমাণ করে সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়েছে অনলাইনের প্রতি।</p> <p>ফুড ডেলিভারি সার্ভিস উবার ইট, ডেলিবারো বদলে দিয়েছে ফ্রান্সে বেকার যুবকদের ভাগ্যের চাকা। বিশেষ করে যদি বলি, ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটা বৃহৎ অংশ এই পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তালিকার সঠিক তথ্য না থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি খাবার ডেলিভারি সার্ভিসের সঙ্গে জড়িত। চাকরির পিছে না ঘুরে স্বাধীনভাবে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন আর আর একটি স্কুটার কিনে কাজে নেমে পড়ছেন তারা। ফলে জীবন মানের যেমন পরিবর্তন আসছে তেমনি বেকারত্বের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হতে পারছেন।</p> <p>এক মাসে নিয়ম করে দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘন্টা কাজ করলে দৈনিক প্রায় এক শ ইউরো করে মাসে দুই হাজার থেকে বাইশ শ ইউরো আয় করা সম্ভব। বিশেষ করে তরুণ-যুবকরা কিংবা যারা নতুন ফ্রান্সে আসেন তাদের এ পেশা দারুণভাবে উৎসাহিত করে।</p> <p>স্বাধীন এই পেশায় অবশ্য ঝুঁকিও রয়েছে, যেমন স্কুটার চালানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা কিংবা না বুঝা। এতে বিপদও আসতে পারে, গেল একমাসে ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশি তিন থেকে চারজন দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন।</p> <p>বিজ্ঞরা বলেন, যারা ফুড ডেলিভারি সার্ভিসে কাজ করতে চায় তাদের উচিৎ ট্রাফিক আইন ভালোভাবে জানা পাশাপাশি স্কুটার চালানোর দক্ষতাও থাকতে হবে তবেই হয়তো অ্যাক্সিডেন্ট এড়ানো সম্ভব। ফ্রান্সে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি, খোদ ফরাসি, আরবি আফ্রিকান অভিবাসীরাও ফুড ডেলিভারি সার্ভিসে কাজ করছেন।</p>