<p>স্পেনে নিয়মিত হওয়ার নতুন সুযোগে সৃষ্টি হলো। আরো সহজে স্পেনের নাগরিত্ব পাওয়া যাবে। গত ২৫ শে মার্চ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নির্দেশ প্রদান করে ,দুই বছর  স্পেনে বসবাস করলে ন্যূনতম ছয় মাসের কর্মকাল প্রমানসহ সহজ শর্তে রেসিডেন্ট  কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোনো কন্ট্রাক এর প্রয়োজন হবে না। ছয় মাস এর কম কাজের প্রমান ন্যূনতম কাজের  ক্ষেত্রে শিথিলযোগ বলে বিবেচিত হবে।</p> <p>নতুন এই রায়ের মধ্যে দিয়ে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার থেকে মুক্তি মিলবে হাজার হাজার ডকুমেন্ট প্রত্যাশী প্রবাসীদের। এতে করে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী, স্টুডেন্ট, জব ভিসা, তার্কেটা কুমনিনুটারিওসহ বিভিন্নভাবে যারা কাজ করেছেন তারাই এই স্পেন সরকার কর্তৃক সহজীকরণের সুযোগ পাবেন। কাজের কন্টাক নিয়ে দুর্নীতি অনিয়ম এবং অধিক অর্থ নিয়ে কন্টাক্ট এর ভোগান্তি আর হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে প্রবাসীরা। পাশাপাশি কমবে ইমিগ্রান্ট  প্রত্যাশীদের আবেদনের দীর্ঘসূত্রিতা এবং  জটিলতা। এছাড়াও স্পেনিশ  ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সে অংশগ্রহণ অনেকটা শিথিল হবে। আইরাইগো লেবরাল (arrigo leboral)এর আওতায় এ সুযোগ পাবেন যারা তাদের স্পেনে অবস্থারত দুইবছরের যেকোন ছয়মাস আট ঘন্টা /চার ঘন্টা কর্মকাল দেখাতে হবে। এতে কোনো কন্টাক-এর প্রয়োজন হবে না। তবে, সাধারণ নিয়মিতিকরণের যে পদ্বতি আররিগো সোশ্যাল ( aarigo social) আগের মতোই তিন বছর স্পেনে থাকার প্রমানপত্রসহ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, কাজের কন্টাক্টসহ আবেদন করতে হবে।</p> <p>বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন এবং মানবাধিকার সংস্থা দাবি জানিয়ে আসছিল স্পেনে অ্যামনেস্টি ঘোষণা দেয়ার। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে অ্যমনেস্টি দেবার ঢালাও সিদ্ধান্ত নেয়নি স্পেন। যদিও বর্তমান সোসালিস্ট পার্টি নেতৃত্বতাধীন সরকার সব সময় প্রবাসীবান্ধব বলে পরিচিত। ২০০৫ সালে সহজ শর্তে  সাধারণ  নিয়মিতিকরণের ঘোষণা দিয়েছিলো, যা ছিল সর্বশেষ। তারাও চাইছিলো এরকম কোনো পদ্ধতিতে সহজ শর্তে রেসিডেন্ট কার্ড লাভ করুক ইমিগ্রান্ট প্রত্যাশীরা। এক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো বাধা হিসেবে  দাঁড়ালো না।</p> <p>অবশ্য আরিগো লেবরাল পদ্বতি চালু  ছিলো ২০১২ সাল পর্যন্ত। আইনি জটিলতার কারণে বেশিরভাগ প্রবাসী এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। এবারের  সহজীকরণের কারণে তা এখন অনেকটা ডকুমেন্ট প্রত্যাশীদের নতুন দ্বার খুললো। বেসরকারি তথ্যমতে প্রায় দুই লক্ষ ডকুমেন্ট প্রত্যাশী, তাঁর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার  বাংলাদেশী রয়েছেন।</p> <p>এ ব্যাপারে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুন্দর বলেন, অবশ্যই এটি একটি যুগান্তকারী রায়। এতে অনেক ভুক্তভোগী বাংলাদেশি উপকৃত হবে। স্পেন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রাসেল হাওলাদার বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে যারা আন্দোলন করছে, তাদের দাবির প্রতিফলন ঘটলো।</p>