<p style="text-align:justify">জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।</p> <p style="text-align:justify">মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ঢাকা সেনানিবাসের ‘আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স’-এ এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৭২ জন আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে বাংলাদেশের ইতিহাসে যুগান্তকারী ঘটনা বলে মন্তব্য করে তিনি অংশগ্রহণকারী যোদ্ধাদের জাতির গর্ব হিসেবে উল্লেখ করেন।</p> <p style="text-align:justify">সেনাপ্রধান বলেন, ‘এই আন্দোলনে তরুণ সমাজ শুধু অংশগ্রহণই করেনি বরং কিভাবে সত্য ও সঠিক পথে ন্যায়সংগত দাবি আদায় করা যায় সেই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জুলাই যোদ্ধাগণের স্বপ্ন পূরণে সব সময় পাশে থেকেছে। তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, ‘সমরে আমরা, শান্তিতে আমরা সর্বত্র আমরা দেশের তরে' এই মূলমন্ত্র বুকে ধারণ করে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও দেশ মাতৃকার কল্যাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় পাশে থাকবে।</p> <p style="text-align:justify">সেনাপ্রধান বিশেষভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ, সততা, মানবিকতাবোধ ও নিয়মানুবর্তিতার সমন্বয়ে সকলে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করলে এই দেশ সমৃদ্ধির শিখরে আরোহণ করে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। তিনি সেই স্বপ্ন পূরণে সকলকে একযোগে কাজ করার অনুরোধ জানান।</p> <p style="text-align:justify">সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও নিহত যোদ্ধাগণের প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।</p>