<p style="text-align:justify">এলডিসি বা স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, ‘আগামী বছর উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর শুল্ক সুবিধা না থাকায় দেশের রপ্তানি খাতে বছরে ৮ বিলিয়ন ক্ষতি হতে পারে।’</p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রেও উন্নয়ন সহযোগিতা হ্রাস পাবে বলে জানান তিনি।</p> <p style="text-align:justify">শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর এফডিসি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান সরকার সঠিক পথে আছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে ড. ফাহমিদা খাতুন এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখনো প্রস্তুত নয়। গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী সময়ে শুল্ক সুবিধা না থাকায় বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বছরে ৮ বিলিয়ন ক্ষতি হতে পারে।</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় যে অর্থনৈতিক তথ্য দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল গোঁজামিলনির্ভর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অর্থনৈতিক ডেটা কিভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়, বাংলাদেশ ছিল তার মধ্যে একটা অগ্রগণ্য দেশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) নির্দেশদানের মাধ্যমে তারা মনমতো ডেটা ব্যবহার করত।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরে বাংলাদেশকে কমার্শিয়াল রেটে ঋণ নিতে হবে। যা পরিশোধ করা ও ঋণের শর্তপূরণ করা কঠিন। চীনের ঋণের ব্যাপারে সব সময় একটা সংশয় থাকে। অন্যান্য দেশের ঋণের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স স্পষ্ট থাকলেও চীনের ক্ষেত্রে তা থাকে না। কোনোভাবেই আমাদের ঋণের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।’</p> <p style="text-align:justify">ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘অন্তর্বতী সরকার এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেও প্রশ্ন হচ্ছে, আওয়ামী সরকারের আমলের ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হতে যাচ্ছি কি না? বিগত সরকারের আমলের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হতো। ভুল, মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত তথ্য দিয়ে উন্নয়নের মিথ্যা গল্প শোনানো হতো।’</p>