<p>আওয়ামী লীগের লুটেপাটের চিত্র পাঠ্যবইয়ে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। </p> <p>তিনি বলেন, বিগত চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ অর্থনৈতিক খাতে যে লুটপাট করেছে এর একটি শ্বেতপত্র তৈরি করা হয়েছে। এই শ্বৈতপত্রটির মাধ্যমে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এই চিত্র পরবর্তী প্রজন্মকে জানানোর জন্য পাঠ্যবইয়ে এই লুটপাটের কথা থাকা উচিত।</p> <p>আজ রবিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা বলেন।</p> <p>ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বের কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদন দেখে প্রধান উপদেষ্টা অবাক হয়েছেন জানিয়ে প্রেসসচিব বলেন, যে লুটপাট হয়েছে তা শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার মতো। এটা টেক্সটবুকে থাকা উচিত। এ টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এটা একটা ঐতিহাসিক ডকুমেন্ট। এটা সবাইকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।</p> <p>গত ১৫ বছরে যা হয়েছে তার বিচার করা এই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, এই মহাচুরির বিচার অবশ্যই হবে। পাশাপাশি পাচার হওয়া টাকা ফেরানোর বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সর্বোচ্চভাবে টাকা ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাব।</p> <p>কীভাবে দেশের টাকা লুটপাট হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ চিত্র দ্রুত দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রেসসচিব।</p> <p>নতুন করে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপানোর পরও মূল্যস্ফীতিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না জানিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, যে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপা হয়েছে তা চৌবাচ্চার পানির মতো। মূল্যস্ফীতিতে এর সামান্যতম প্রভাবও পড়বে না।</p> <p>রবিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তার তেজগাঁও কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আর্থিক খাতে দুর্নীতির শ্বেতপত্র হস্তান্তর করেছে কমিটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলের গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। শ্বেতপত্র প্রণয়নে গঠিত কমিটি তিন মাসের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।</p>