<p>বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশ ও সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপটি শুক্রবার নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে কক্সবাজারসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় অতি ভারি বর্ষণও হয়েছে। তবে নিম্নচাপটি স্থলের খুব কাছাকাছি থাকায় তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার তেমন শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে মূলত আগামীকাল শনিবার ও পরবর্তী দিন রবিবার সারা দেশে বৃষ্টি থাকতে পারে।</p> <p>ভারি বৃষ্টিপাতজনিত কারণে চট্টগ্রাম বিভাগে পাহাড়ধসের সতর্কতা বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় দেশের তিন সমুদ্রবন্দর (চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা) এবং উপকূলীয় এলাকা কক্সবাজারে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতও বহাল রয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নতুন ফোনালাপ ফাঁস, ‘আমি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/13/1726224177-da9ca8088150e71ab2dc1ab576cb6d9d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নতুন ফোনালাপ ফাঁস, ‘আমি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/13/1425045" target="_blank"> </a></div> </div> <p>নিম্নচাপের প্রভাব ও বৃষ্টিপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম শুক্রবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিম্নচাপটি স্থলের খুব কাছাকাছি থাকায় এটি আরো ঘনীভূত হওয়া বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। সিস্টেমটি শুক্রবার উপকূলের কাছাকাছি থাকায় এসব অঞ্চলে বৃষ্টি ছিল। তবে এটি ধীরে ধীরে স্থলভাগে উঠে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এতে কক্সবাজারসহ দেশের উপকূলীয় এলাকায় শনিবার দুপুর থেকে বৃষ্টি কমতে পারে। সেই সঙ্গে উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি বাড়তে পারে। সব মিলিয়ে শনি ও রবিবার সারা দেশে মোটামুটি বৃষ্টি থাকতে পারে। এরপর তা আবার কমতে পারে।’<br />  <br /> এদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র শুক্রবার জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা থাকায় শনি ও রবিবার চট্টগ্রাম বিভাগের নদ-নদীর পানি  দ্রুত বাড়তে পারে। এতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি জেলা এবং পূর্বাঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে শায়খ আমহাদুল্লাহর স্ট্যাটাস" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/13/1726231960-3515677305470cf338711821a36cddad.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে শায়খ আমহাদুল্লাহর স্ট্যাটাস</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/13/1425075" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অন্যদিকে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থাকায় এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় এ সময় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে।</p> <p><strong>কক্সবাজারে রেকর্ড ৪৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি</strong></p> <p>দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দুই বিভাগ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে বৃষ্টি তুলনামূলক অনেকটাই বেশি ছিল শুক্রবার। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে, ৪৩৬ মিলিমিটার। গত ৯ বছরের মধ্যে এটিই কক্সবাজারে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। </p> <p>আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘২০১৫ সালের ২৪ জুন কক্সবাজারে ৪৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় হওয়া ৪৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিই এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ। তবে যদি আমরা ৩০ ঘণ্টা হিসাব করি অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ৫৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।’</p>