<p>অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চূড়ান্ত রূপরেখা ঘোষণার সময় জানালেন বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, বুধবার (৭ আগস্ট) রাতের মধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চূড়ান্ত রূপরেখা ঘোষণা করা হবে।   </p> <p>বুধবার (৭ আগস্ট) গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।</p> <p>এদিকে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। তার নেতৃত্বে গঠিত হতে যাচ্ছে নতুন এই সরকার। এ সরকারের বাকি সদস্যদের নাম রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ওই সরকার দায়িত্ব পালন করবে। </p> <p>মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন সমন্বয়কের চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দীনও উপস্থিত ছিলেন। </p> <p>রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্তের গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। </p> <p>তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করা হবে। এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্তের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব পালনের বিষয়ে গণমাধ্যমে তার সম্মতি জানান।</p> <p>এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। বঙ্গভবন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করার তথ্য জানানো হয়। একইদিন আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ আরেক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদের অধীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে সংসদ গঠনের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় তা বিলুপ্ত হলো। </p> <p>সংসদ ভেঙে দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। মঙ্গলবার বিকাল ৩টার মধ্যেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তারা। ওই আলটিমেটাম শেষ হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে আসে সংসদ বিলুপ্তির ঘোষণা।</p>