<p>‘আর যদি আমার ভাইদের বুকে গুলি করা হয়, আমার বোনদের আহত হয় আমরা বসে থাকব না। পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে, মহল্লায় মহল্লায়, অলিতে গলিতে প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটি গঠন করুন। যেখানেই হামলা হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। আমরা এই সরকারকে মানি না। এখন থেকে দেশের নেতৃত্ব দিবে ছাত্র-জনতা। ছাত্র-জনতার ঘোষণা চূড়ান্ত ঘোষণা। গতকালও দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণহত্যা করা হয়েছে। আমার ভাইয়েরা শহীদ হয়েছে। আজকেও হামলা চলছে।’ রবিবার (৪ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। </p> <p>পূর্বঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন শুরুর পর থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংঘর্ষ ও হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।</p> <p>ফেসবুকে তিনি আরো বলেন, ‘আজকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সরাসরি মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগ দেশে একটা গৃহযুদ্ধ তৈরি করতে চায়। দেশটা একটা গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ছাত্র-জনতা যেকোনো মুহূর্তের জন্য প্রস্তুত। আপনারা প্রতিরোধ করুন, রুখে দাঁড়ান, সন্ত্রাসীদেরকে বাংলাদেশ ছাড়া করতে হবে।’ </p> <p>তিনি বলেন, ‘এই খুনি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচার নিশ্চিত করবো এই বাংলার মাটিতে। শাহবাগে আমরা এসেছি আজকে। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে আমাদের অবস্থান জারি থাকবে। পুনরায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এই ধরনের ষড়যন্ত্র এবার কোনো কাজে লাগবেনা। যদি ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া তবুও আমরা রাজপথে থাকবো।’</p> <p>নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, আমাদের এক দফা দাবি ঘোষণা হয়েছে। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা ঘোষণা বাকি। আমাদেরকে যদি গুম করা হয়, খুন করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয়, যদি ঘোষণা দেওয়ার মত কেউ না থাকে আপনারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন। আমাদের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, গন্তব্য পরিষ্কার। বিজয় এবং একমাত্র বিজয়ই আমাদের লক্ষ্য। আমরা এখনো সময় দিচ্ছি। সরকার যদি এখনো সহিংসতা চালিয়ে যায়, আমরা কিন্তু গণভবনের দিকে তাকিয়ে আছি। আপনাকে ঠিক করতে হবে শেখ হাসিনা, আপনি কী এখনো সহিংসতা চালাবেন, রক্তপাত চালাবেন? নাকি ছাত্রদের দফা অনুযায়ী পদত্যাগ করবেন?</p> <p>সর্বোস্তরের মানুষকে আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘আগামী দুই দিনের কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছি। আগামীকাল অসহযোগ তো চলবেই পাশাপাশি বিক্ষোভও অবস্থান অব্যাহত থাকবে। সারাদেশে শহীদ স্মরণে শহীদ হওয়ার স্থানসমূহে স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হবে। শহীদের রক্তের শপথ নিয়ে এই লড়াই চালিয়ে যাবো। আগামীকাল ঢাকায় সকাল ১১টায় শাহবাগে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি শ্রমিক সমাবেশ হবে। ছাত্রদের আহ্বান করবো, আপনারা সকল শ্রমিকদের শাহবাগের গণঅবস্থানে আহ্বান করবেন। বিকাল ৫টায় শহীদ মিনারে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশের সকল জায়গায়, পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায়, অলিতে গলিতে, ইউনিয়নে ইউনিয়নে গণ অবস্থান ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।,</p> <p>আগামী মঙ্গলবার ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ ঘোষণা করা হলো। যারা ঢাকার বাহিরে রয়েছেন, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ছাত্র-জনতা, শ্রমিক, পেশাজীবী দলে দলে আপনারা ঢাকা মুখী লং মার্চ করবেন। শাহবাগে সমাবেশ করব। আমাদের স্লোগান হলো ’ছাড়তে হবে ক্ষমতা, ঢাকায় চলো জনতা’। </p>