<p>অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নারী ও অবদানের অভাব পূরণের লক্ষ্যে দেশের ১ লাখ ৪০ হাজার অস্বচ্ছল নারীকে পুষ্টি চাল বিতরণসহ ৯টি মৌলিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল-এনএসএসএস ২০১৫ এর আওতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট-ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।</p> <p>মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মন্ত্রনালয়ের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানোর হয়। প্রকল্পের ইনভেষ্টমেন্ট কমপোনেন্ট ফর ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট-আইসিভিজিডির ২য় পর্যায় (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের উপকারভোগীদের ব্যবসা সহায়তায় আর্থিক অনুদান বিতরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।</p> <p>অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানটি দেশেল নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আমাদেও চলমান প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত। এই বিনিয়োগ অনুদান দেওযার মাধ্যমে আমরা নারীদের কেবল স্বতন্ত্রভাবেই সমর্থন করছি না, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করছি।’</p> <p>বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির-ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমেনিকো স্কাল্পেল্লি বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে টেকসই উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। এই বিনিয়োগ নারীকে স্থিতিস্থাপক জীবিকা গড়ে তুলতে সক্ষম করবে। আমরা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং অপুষ্টি মোকাবেলায় সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য নিবেদিত। এর মাধ্যমে সবার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তোলা হবে।’</p> <p>এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম ধাপে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল মেয়াদে দেশের আটটি উপজেলার ৮ হাজার নারী এবং সংশোধিত ধাপে ৬৪টি জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে মোট এক লাখ নারীকে উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাদের নগদ আর্থিক অনুদান, চাল বিতরণ, ৫টি নির্ধারিত বিষয়ের অধীনে পাঁচটি মডিউলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়াও একটি মডিউলের অধীনে প্রত্যেকের পছন্দ ও সুবিধাজনক বিষয়ে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ ও ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।</p> <p>এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আইসিভিজিডি প্রকল্পের ৯৬ হাজার ৯২৮ জন নারীকে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ অনুদান বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।</p> <p>অনুষ্ঠানে বলা হয়, এই উপভোগকারীরা প্রত্যেকে জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং উন্নত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করেছে। এখন তারা প্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যবহার করে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জন এবং পরিবার ও সমাজে অবদান রাখাতে পারে।</p> <p>অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারক। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।</p>