<p>বর্ষার হাতছানি। বর্ষা বাংলাদেশের দ্বিতীয় ঋতু। আমাদের দেশে আষাঢ়-শ্রাবণ এ দুই মাস বর্ষাকাল। কিন্তু ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ ২১ জ্যৈষ্ঠ। বর্ষার বার্তা নিয়ে কয়েক দিন ধরে দেশে প্রবেশ করছে মৌসুমি বায়ু। তবে এখনো সারা দেশে বিস্তার লাভ করতে পারেনি সেটি। সবচেয়ে বেশি সক্রিয় সিলেট ও রংপুর বিভাগে। যা আরো তিন দিন অব্যাহত থাকবে। </p> <p>বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ভারি বৃষ্টিতে সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় সাময়িক বন্যা দেখা দিয়েছে। যা ৪৮ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকবে। ৩ জুন থেকে দেশজুড়ে বইতে শুরু করেছে মৌসুমি বায়ু। ভারত ও বঙ্গোপসাগর থেকে আসা মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে প্লাবিত হচ্ছে নিচু এলাকা। </p> <p>আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সাধারণত ১০ জুনের পর থেকে মৌসুমি বায়ু ঢুকলে শুরু হয় বর্ষাকাল। তবে এবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে একটু আগেই এসেছে বর্ষা। </p> <p>আবহাওয়াবিদ খন্দকার হফিজুর রহমান বলেন, ‘বর্ষাটা সাধারণত টেকনাফ উপকূল থেকে শুরু হয়। টেকনাফ থেকে সিলেট হয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে অগ্রসর হয়। সারা দেশেই জুনের ২০ তারিখের মধ্যে বর্ষা বিস্তার লাভ করে। ওই হিসাবে এবার কিন্তু বর্ষাটা একটু আগেই বিস্তার লাভ করছে।’ </p> <p>গবেষকরা বলছেন, উজানের ভারি বৃষ্টি ও হিমালয়ের বরফ গলা পানি ভাটিতে নামে সিলেট বিভাগের নদ-নদী দিয়ে। এসব জলাধারের কম নাব্যতা ও উজানের বনায়ন ধংসে ভাটিতে বাড়ছে বন্যার ঝুঁকি। </p> <p>বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সজল কুমার রায় বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে যেটুকু বৃষ্টি হচ্ছে, নদী ড্রেনেজ সিস্টেম দিয়ে বের করে দিচ্ছে। আশা করছি, আগামী যে ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই নদীর পানি সমতলের চেয়ে নিচে নেমে যাবে, ধীরগতিতে হলেও।’ </p> <p>বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ভারি বৃষ্টির প্রভাবে তিস্তার পানি বাড়ছে। সেই সাথে সমতলে ১১০টির মধ্যে ৭৩টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বাড়ছে।</p>