<p>নৌযান মালিকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের আধিপত্যের কারণে পণ্য পরিবহনে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এর ফলে আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।</p> <p>বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানান বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, পণ্যপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গত ২ ও ২৫ জানুয়ারি  নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তবে আগামী ৩০ মে আমাদের দাবি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বান করা হয়েছে। এরপরেও দাবি বাস্তবায়িত না হলে আমরা কর্মবিরতি শুরু করতে বাধ্য হবো।</p> <p>নৌযান শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও নিরাপত্তার বিষয়টি সব সময় উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে এ শ্রমিক নেতা বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে মালিক, শ্রমিক ও সরকারের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে কন্ট্রিবিউটারি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন এবং প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র ও সার্ভিসবুক প্রদানের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। কিন্তু এরপর চার বছর অতিবাহিত হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।</p> <p>তিনি বলেন, ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে নতুন-মজুরি কাঠামো কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও এখনো ৪০ শতাংশের বেশি শ্রমিক গেজেট মোতাবেক বেতন না পেয়ে চরম অর্থ সংকটের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। এ ছাড়া শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত কারণে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে আসলেও তা মেনে নেওয়া হয়নি।</p> <p>তিনি আরো বলেন, আমরা সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বছরের পর বছর দাবি জানিয়ে আসছি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে কিছু কিছু দাবি কার্যকর করলেও অধিকাংশই উপেক্ষিত রয়েছে।</p> <p>অতিদ্রুত সকল মালিক সমিতিকে একটি প্লাটফর্মে এনে পণ্যপরিবহনে সমতা বিধান করার আহ্বান জানিয়ে চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, নৌযান শিল্পে চলমান অস্থিরতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে অল্প সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে পণ্যপরিবহনে নিয়োজিত সহশ্রাধিক জাহাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে চাকরি হারাবে কয়েক হাজার শ্রমিক।</p>