<p>দেশব্যাপী বৈদ্যুতিক গ্রিড ফ্রিকোয়েন্সি উন্নত করা ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এবং বিদ্যুৎ বিভাগ যৌথভাবে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।</p> <p>আজ সোমবার (২০ মে) বিদ্যুৎ বিভাগে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ও জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগীরা।</p> <p>কর্মশালায় জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও দেশের উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা ও দ্রুত শিল্পায়নের জন্য পাওয়ার স্ট্যাবিলিটি নিশ্চিত করা জরুরি।’</p> <p>গত ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর দেশব্যাপী গ্রিড ও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের (গ্রিড ফেইলিওর অ্যান্ড ব্ল্যাকআউট) পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় প্রতিরোধ এবং গ্রিডের স্ট্যাবিলিটি বাড়ানোর বিষয়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে জাইকা। রিপোর্টে জাইকার সমীক্ষা দল তাদের ফলাফল জানায় এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিতে বেশকিছু স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী বিকল্প ব্যবস্থার সুপারিশ করে। বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক গ্রিডকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো আরো সংবেদনশীল উৎসের জন্য খুব দ্রুত প্রস্তুত হতে হবে। এখান থেকে আগামী বছরই জাতীয় গ্রিডে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।</p> <p>সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, গ্রিড ও ব্যক্তিপর্যায়ে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের ব্যবহার বিপুলভাবে বাড়তে পারে, যা জটিলতা আরো বৃদ্ধি করবে। কর্মশালায় এই সমস্যা ও এর প্রস্তাবিত সমাধান, রিপোর্টে উল্লেখিত বিষয়বস্তু এবং এর ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন অংশগ্রহণকারীরা। রিপোর্টে ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) আধুনিকায়ন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে প্রস্তাব পেশ করা হয়।</p>