<p>গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বের হওয়া গ্যাসের আগুনে গুরুতর দগ্ধরা চিকিৎসা নিচ্ছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। এখানকার পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের বাইরে অপেক্ষা করছেন দগ্ধ কুদ্দুস খান (৪৮)-এর ছেলে নাজিম উদ্দীন। </p> <p>কুদ্দুস খান রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলার উত্তর মুশরত মদতি গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে। </p> <p>ছেলে নাজিম বলেন, ‘বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মা নাজমা বেগমকে নিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর টপস্টার এলাকায় থাকেন। মা গার্মেন্টসে কাজ করতেন। বর্তমানে অসুস্থ থাকায় বাসায় থাকতেন। কিছুই করতেন না। আমি দাদি খোদেজা বেগম ও ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌসীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকি। ছোট বোন নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। আমি নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে এখন টুকটাক ইলেট্রিকের কাজ করি।’ </p> <p>নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘বাবা-মায়ের উপার্জনের কিছু পরিমাণ টাকা বাড়িতে পাঠালে আমাদের সংসার ও ছোট বোনের পড়ালেখা চলত। বর্তমানে বাবার এ অবস্থা। মা দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ রয়েছেন। এখন কী করব জানি না। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’</p> <p>চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কুদ্দুসের ইনহালেশন বার্নসহ শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। </p> <p>শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের শুধু পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড নয়, আইসিইউসহ কয়েকটি ওয়ার্ডের সামনে দগ্ধদের স্বজনরা রয়েছেন। বর্তমানে ২৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। </p> <p>উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৩ মার্চ) ইফতারের আগ মুহূর্তে টপ স্টার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির কাছে একটি টিনশেড কলোনিতে আগুন লাগে। এতে নারী-শিশুসহ ৩৬ জন দগ্ধ হয়। পরবর্তী সময়ে দগ্ধ ও আহত ৩২ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ইতিমধ্যে এ ঘটনায়  দুজন রোগী মারা গেছেন।</p>