<p>গত দুই বছরে রেলপথে ১৭০টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, বর্তমানে রেলওয়ে অ্যাক্ট-১৮৯০ হালনাগাদ করে খসড়া রেলওয়ে আইন-২০২৪ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রণীত এসংক্রান্ত খসড়া আইনে ট্রেনের চেইন টানার শাস্তি বাড়ানোসহ অনিয়ম বন্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।</p> <p>আজ সোমবার (৪ মার্চ) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ সকল তথ্য জানান। আওয়ামী লীগের সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বিনা টিকেটে ট্রেন ও ট্রেনের ছাদে ওঠা বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে ফেন্সিং নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে টিকিটবিহীন যাত্রী প্রবেশ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ভ্রমণরত যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সমন্বয়ে নিয়মিত টিকিট চেকিং কর্মসূচি নেওয়া ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্টেশন প্ল্যাটফরম ও ট্রেনে মোবাইল কোর্ট পরিচালন করা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে বিনা টিকিটের যাত্রী ও ট্রেনে ছাদে ভ্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে।</p> <p>তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে চলন্ত ট্রেনের কোচের অভ্যন্তরে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার জন্য অ্যাটেনডেন্ট, বিনা টিকিটে যাত্রীসেবা প্রতিরোধে টিটিই এবং ট্রেন পরিচালনায় গার্ড নিয়োজিত থাকেন। ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন ট্রেনে নিয়মিতভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কোনো সময় ট্রেনের ছাদে অবৈধ যাত্রী পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে জিআরপি ও আরএনবি সদস্যরা তাঁদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়।</p> <p>একই দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘ট্রেনে চেইন টেনে এবং হোস পাইপ বিচ্ছিন্ন করে ট্রেন থামাবার ঘটনা বর্তমানে আর দেখা যায় না। চোরাকারবারিরা চেইন টেনে মাঝ পথে ট্রেন থামিয়ে পণ্য ওঠানো-নামানোর ঘটনা সাম্প্রতিককালে দেখা যায়নি। এসংক্রান্ত ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য রেলওয়ে পুলিশ, বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিং সভার মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করার কাজ অব্যাহত আছে।’</p>