<p>জামদানিকে টিকিয়ে রাখতে বয়নশিল্পীদের (তাঁতি) জীবনমানের উন্নয়ন জরুরি বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেছেন, জামদানিশিল্পের ধারক-বাহক বয়নশিল্পীরা মানবেতর জীবনযাপন করলেও এর চাহিদা সমাজের উচ্চ শ্রেণির মানুষের কাছে ব্যাপক। তাই শিল্পীদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।</p> <p>আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় জাদুঘরের সিনেপ্লেক্স অডিটরিয়ামে ‘আদি জামদানি নকশা’ শিরোনামের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা। জামদানির ঐতিহ্যবাহী বয়নশিল্পের নকশা রক্ষা করতে সেবা নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাইদা রোকসানা খান। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের প্রধান (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) মো. আইউব আলী। বক্তৃতা করেন সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি চন্দ্রশেখর সাহা ও সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুর রহমান।</p> <p>তাঁত বোর্ডের কর্মকর্তা মো. আইউব আলী বলেন, ‘কেবল জামদানিকে টিকিয়ে রাখা নয়, বরং জামদানির ঐতিহ্যকে তুলে ধরা, বয়নশিল্পীদের জীবনমানের টেকসই উন্নয়ন এবং বয়নশিল্পকে পরিবেশবন্ধব করার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জের তাঁতিরা আদি মসলিন শিল্পীদের বংশধর হলেও তাদের জীবনমান এখনো খুব বেশি উন্নত হয়নি। বংশপরম্পরায় কেউ কেউ এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখলেও অনেক পরিবারই এই শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘জামদানি দেখলে আমরা বুঝতে পারি, আমাদের আগের প্রজন্ম কতটা শৌখিন ছিলেন। জামদানির কাজের কোনো আর্থিক মূল্য হয় না। ১৭ ধরনের মসলিনের মধ্যে একটি হচ্ছে জামদানি। তাই জামদানি রক্ষায় আমাদের আরো বেশি সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।’</p> <p>অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জামদানিশিল্পকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পের (এসইপি) আওতায় পিকেএসএফ সেবা নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রকে সহযোগী সংস্থা হিসেবে জামদানিশিল্পের উন্নয়নে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর তিন বছর মেয়াদে একটি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করে। সেই প্রকল্পের আওতায় ওই বইটি প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে ২০০ বছরের জামদানির ঐতিহ্য ও নকশা তুলে ধরা হয়েছে।</p>