<p style="text-align: justify;">খাদ্যপণ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত কালি ও কোটিংয়ে থাকা টলুইন নামক রাসায়নিক সহজেই রক্তে মিশে মানুষের শরীরে নানা রোগ তৈরি করছে। এতে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বৈশ্বিক খাদ্য প্যাকেজিং অ্যাপ্লিকেশন, প্রিন্টিং কালি ও কোটিং প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিগওয়ার্ক আয়োজিত এক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।</p> <p style="text-align: justify;">সিগওয়ার্কের ভারত অঞ্চলের ব্র্যান্ড ওনার কোলাবরেশন বিভাগের হেড যতীন টাক্কার বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তার মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এর মধ্যে অগ্রগতি দেখিয়েছে। এখন প্রয়োজনীয় যথাযথ ও নিরাপদ সলভেন্ট, পিগমেন্ট ও অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য প্যাকেজিং প্রস্তুত করতে হবে। এ জন্য নিয়ন্ত্রক ও সাপ্লাই চেইন উভয় দিক থেকে খাদ্য প্যাকেজিং বিষয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করা খুব জরুরি।’</p> <p style="text-align: justify;">বক্তারা বলেন, ক্ষতিকর টলুইনের কারণে কারখানার কর্মপরিবেশও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এর ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন টলুইনকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিএমআর ক্যাটাগরি-২ (সন্দেহ করা হয় যে এটি অনাগত সন্তানের ক্ষতি করতে পারে) হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করেছে। এসব কারণে উন্নত দেশের পাশাপাশি ভারত, শ্রীলঙ্কার মতো অনেক দেশ টলুইন নিষিদ্ধ করেছে।</p> <p style="text-align: justify;">আলোচনাসভায় প্যাকেজিংয়ে প্রিন্টিং কালি ব্যবহারের নির্দেশনা নিয়ে বিএসটিআইয়ের মান মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করার তাগিদ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সাধারণ মানুষকে নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা দিতে সম্প্রতি নতুন একটি পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট বা বিএসটিআই।</p> <p style="text-align: justify;">জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংস্থাটি পণ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত কালির মান নির্ধারণ করে দিয়েছে।</p>