<p>চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবিয়া চৌধুরীকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।</p> <p>ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ তসরুজ্জামান বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। এ ছাড়া তাঁদের চেকের সমপরিমাণ তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।</p> <p>বাদীর আইনজীবী বাদীপক্ষের আইনজীবী নিকুঞ্জ বিহারী আচার্য্য কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রায় ঘোষণার সময় মঞ্জুর আলম শিকদার ও তাঁর স্ত্রীকে পলাতক দেখানো হয়েছে। জরিমানার টাকা ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে এসে বাদীকে দিয়ে দিলে আসামিরা খালাস পাবেন। আর এই সময়ের মধ্যে না এলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হবে। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সাজা পরোয়ানা জারির পর জরিমানার অর্ধেক জমা দিয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।’ দণ্ডিতদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না বলে জানান এই আইনজীবী।</p> <p>গত ১৩ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে মঞ্জুর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৯টি মামলায় ওয়ারেন্টমূলে তাঁকে কারাগারে পাঠান আদালত। পরদিন ১৫ জানুয়ারি তিনি এসব মামলায় জামিন পান।</p> <p>নুরুজ্জামান রিপন নামের একজন ক্রেতা আলেশা মার্ট থেকে ছাড়ে মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২০২১ সালের ৮ জুন অর্ডার করেন। অর্ডারের বিপরীতে দুই লাখ ৫০ হাজার ৩১০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। টাকা পরিশোধের পর নির্ধারিত সময় ৪৫ দিন পেরিয়ে গেলেও মোটরসাইকেল বুঝে পাননি ক্রেতা। এরপর কয়েক দফা মোটরসাইকেল হস্তান্তরে ব্যর্থ হয়ে নুরুজ্জামানকে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর মোটরসাইকেলের ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকার চেক দেয় আলেশা মার্ট।</p> <p>২০২২ সালের ২০ মার্চ ঢাকার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল হল শাখায় চেকটি নগদায়নের জন্য জমা দিলে সেটি প্রত্যাখ্যান হয়। এরপর ভুক্তভোগী নুরুজ্জামান আলেশা মার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেও টাকা ফেরত পাননি। পরে ওই বছরের ১৯ মে তিনি আলেশা মার্টের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। পরে প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি।</p>