<p>পুলিশের মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বর্তমানে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে। এতে পুলিশের কাজেও ব্যাপক গতিশীলতা এসেছে। পুলিশের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা তথা জনগণের সেবক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা। আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।</p> <p>আজ শনিবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির (বিআরপিওডাব্লিউএ) ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।</p> <p>সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়ালিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সভায় কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সমিতির মহাসচিব ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিয়া লুৎফর রহমান চৌধুরী।</p> <p>আইজিপি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ অতীতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ আগামীতেও দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।</p> <p>পুলিশকে একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের অনন্য অবদানের কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, আপনাদের দেখানো পথ ধরেই পুলিশ দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে তাদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।</p> <p>আইজিপি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা বাংলাদেশ পুলিশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। তাদের রচিত ভিতের ওপরই বর্তমান পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। তাদের কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকাকে আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। তাদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, নতুন প্রজন্মের পুলিশ কর্মকর্তারা আপনাদের কাছ থেকে উপদেশ ও নির্দেশনা গ্রহণ করে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে সচেষ্ট হবেন।</p> <p>পুলিশ প্রধান বলেন, বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি একটি কল্যাণধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত। গত ৪০ বছর যাবৎ এ সমিতি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। অবসর গ্রহণের পরও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বিশেষ করে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সমিতির সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।</p> <p>আইজিপি সমিতির মৃত্যুবরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশেরও প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে।</p> <p>সভায় সমিতির পাঁচজন বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। কমিউনিটি পুলিশিং ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে বিশেষ অবদানের জন্য বাগেরহাটের রামপাল থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) এস এম আশরাফুল আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম এবং কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার এসআই (নিরস্ত্র) তহুরা আক্তারকে এস এম আহসান স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়।</p> <p>এ ছাড়া পুলিশ পরিবারের সন্তানদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জনকারী ২৯ জন্য মেধাবী শিক্ষার্থীকে সমিতি পরিচালিত 'মরহুম মহীউদ্দিন আহমদ চৌধুরী-এম সহীদুল ইসলাম চৌধুরী শিক্ষা বৃত্তি’ প্রদান করা হয়।</p> <p> </p>