<p>ভোলায় পাওয়া প্রাকৃতিক গ্যাস দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই দাবি আদায়ে তারা আগামী ৩১ অক্টোবর দক্ষিণাঞ্চলের জেলা সমুহের ঘেরাও কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।</p> <p>দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে ভোলার গ্যাস রক্ষা আন্দোলন, ঢাকার সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন রাজনীতিবিদ অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, ডা. হারুন অর রশিদ, আইনজীবী নেতা আবু হানিফ, যুবনেতা খান আসাদুজ্জামান মাসুম, সাজ্জাদ হোসেন ও মোহাম্মদ সামসুল ইসলাম সুমন, ছাত্রনেতা গৌতম শীল, দিপ্ত মিত্র, অ্যাডভোকেট আল-মামুন, সাংবাদিক জিলানী মিল্টন, আশিকুল ইসলাম জুয়েল, উত্তম দাস, আফজাল হোসেন বাচ্চু, অ্যাডভোকেট নুরুদ্দীন, শংকর মন্ডল, মনিরুজ্জামান মনির, অনুপ কুমার কুন্ডু, হুমায়ূন কবির মন্টু, কাজী মঞ্জরুল ইসলাম শাহীন, মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ।</p> <p>সমাবেশে বলা হয়, ১৯৯৫ সালে আবিস্কৃত ভোলার প্রথম গ্যাসকুপ শাহাবাজপুরের গ্যাস দিয়ে উৎপাদিত ৪৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স ৯টি কুপ খনন করে ৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। যে গ্যাস পিছিয়ে পড়া দক্ষিণাঞ্চলের শিল্পায়নে ব্যবহার ও ব্যাপক কর্মসংস্থান করা সম্ভব। অথচ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি চক্র ইতোপূর্বে দেশি-বিদেশি কম্পানির স্বার্থে এই গ্যাস বিদেশে রপ্তানির পাঁয়তারা করেছে। আবার এখন দেশের গ্যাসের সংকটকে পুঁজি করে ইন্টাকো নামে একটি কম্পানিকে দিয়ে ভোলার গ্যাস অন্যত্র ব্যবহারে পাঁয়তারা করছে।</p> <p>বক্তারা বলেন, পর্যাপ্ত শিল্প উপযোগী জমি, পায়রা সমুদ্রবন্দর, পায়রায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের হাব তৈরি হওয়া এবং পদ্মা সেতুর কল্যাণে বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের জন্য ভোলা গ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। তাই দক্ষিণাঞ্চলবাসীর বৃহৎ স্বার্থে ইন্টাকো কম্পানির সাথে সম্পাদিত ভোলার গ্যাস বিক্রির চুক্তি বাতিল করতে হবে। আর দেশের স্বার্থে যদি ভোলার গ্যাস ব্যবহার একান্তই অন্যত্র করতে হয়, সেক্ষেত্রে দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পায়নের জন্য আগামী ৩০ বছরের কি পরিমাণ গ্যাস প্রয়োজন তা নির্ধারণ ও সে পরিমাণ গ্যাস মজুদ রাখতে হবে। এর বাইরে যেকোনো উদ্যোগ দক্ষিণাঞ্চলের নাগরিকরা প্রতিরোধ করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।</p>