<p>বগুড়ায় এক অভিভাবককে পা ধরতে বাধ্য করার অভিযোগে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।</p> <p>আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের বিচার শাখা থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।</p> <p>এর আগে ২২ মার্চ ওই বিচারককে বদলি করতে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টে একটি স্মারক পাঠায়। ওই বিচারকের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে ডেকে এনে পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।</p> <p>সম্প্রতি বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবককে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে। পরে এর প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি জানাজানির পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ছাত্রীদের কাছে ঘটনা শোনার পর তাদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু ছাত্রীরা বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এক পর্যায়ে রাত ৮টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ চলে। পরে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হেলেনা আকতারসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা বিদ্যালয়ে আসেন।</p> <p>পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্কুলের অভিভাবক সমাবেশে এসে বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিন তিন শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবককে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ডেকে আনেন। ফেসবুকে তাকে ও তার মেয়েকে নিয়ে অপমানজনক কথা বলা হয়েছে দাবি করে সাইবার অপরাধের অভিযোগে মামলা করার হুমকি দেন তিনি। এক পর্যায়ে এক শিক্ষার্থীর মাকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন ওই বিচারক। সে সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছা. রাবেয়া খাতুন বিচারকের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের শাসান।</p> <p>বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। তারা বিচারকের এমন কাণ্ডের সমালোচনা করেন।</p>