<p>জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর হেফাজত নিয়ে ঢাকার পারিবারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বাবা ইমরান শরীফের আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ঢাকার জেলা জজ আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ সময় দুই পক্ষ অর্থাৎ শিশুদের বাবা ইমরান শরীফ ও মা এরিকো নাকানোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। </p> <p>আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ পর্যবেক্ষণসহ এ আদেশ দেন। </p> <p>আদালতে শিশুদের মা এরিকো নাকানোর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ শিশির মনির। বাবার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আখতার ইমাম, রাশনা ইমাম ও মোশতাক আহমেদ।</p> <p>গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের আদেশ না মানার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এরিকো নাকানো ও ইমরান শরীফের পার্টাপাল্টি আদালত অবমাননার আবেদন ও আপিল বিভাগের ওই আদেশের অংশবিশেষের পুনর্বিবেচনা চেয়ে এরিকোর আরেকটি আবেদন করেছিলেন। সেসব আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শিশির মনির। </p> <p>আইনজীবী রাশনা ইমাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আদালতের আদেশটি খুবই স্পষ্ট। বাবা ইমরান শরীফের আপিলটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। আর স্টেটাস কো মানে হচ্ছে- দুই শিশু যে অবস্থায় আছে অর্থাৎ যে বাবার কাছে আছে সে বাবার কাছে থাকবে, যে মায়ের কাছে আছে সে মায়ের কাছে থাকবে। শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যেতে পারবে না মা-বাবা কেউই।</p> <p>এ আইনজীবী বলেন, ‘আদালতের আদেশ অমান্য করে মা এরিকো নাকানো দু-দুবার শিশুদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এ ঘটনায় তার আইনজীবী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলে আদালত সেটি গ্রহণ করলে তাকে সতর্ক করে দিয়েছেন, যাতে এই চেষ্টা আর তিনি না করেন।’</p> <p>জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।</p>