<p>বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির প্রেসিডেন্ট ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, ‘বাজুসের সবাই আমরা একটি পরিবার। সকলে মিলেমিশে এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমাদের এই অগ্রযাত্রা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।’ গতকাল রবিবার ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি চট্টগ্রাম জেলার নিজস্ব অফিস উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বাজুসের অগ্রযাত্রার ভবিষ্যৎ সফলতা কামনা করেন। </p> <p>নগরীর কোতোয়ালি থানার আরশী রঙ্গম টাওয়ারে নবনির্মিত অফিস স্থাপন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাজুস চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মৃণাল কান্তি ধর, সহসভাপতি সুধীর রঞ্জন বণিক, সিদুল কান্তি ধর, দিলীপ কুমার ধর, হারাধন মহাজন, বিপ্লব বসাক, লিটন কান্তি ধর, যীশু বণিক, সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট অমল কৃষ্ণ ধর, সহসম্পাদক কাজল বণিক, প্রদীপ গুহ, অমিত ধর, হিরন্ময় ধর, সুকুমার দে, মো. শাহজাহান সিদ্দিকী, খোকন ধর, হাজী মোহাম্মদ নুরুল হক, সুজিত কুমার ধর, কোষাধ্যক্ষ প্রতাপ ধর, সদস্য মিনা নাথ ধর, গোপীনাথ ধর, রুবেল কান্তি ধর, তপন কান্তি ধর, স্বপন চৌধুরী, রণি বণিক, মিন্টু ধর, শম্ভু ধর, রাজীব ধর তমাল, বরুণ হাজারী, বিপ্লব কান্তি ধর, স্বপন কুমার ধর, নুরুল আবছার চৌধুরী, রূপন কান্তি ধর, শান্তনু বণিক, দিলীপ কুমার বণিক প্রমুখ।</p> <p>বাজুস চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা বলেন, ‘আজকের দিনটি বাজুস চট্টগ্রাম শাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় দিন। বাজুস চট্টগ্রাম শাখা এখন বিভাগীয় ভূমিকা পালন করে। বর্তমান বাজুস সুসংগঠিত হওয়ার পেছনে যিনি মুখ্য ভূমিকায় আছেন, তিনি হচ্ছেন দেশের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। যার অনুপ্রেরণায় ও নেতৃত্বে বর্তমান বাজুস আগের চেয়ে অনেক বেশি গতিশীল। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সাংগঠনিক নিয়মে বাজুস চট্টগ্রাম শাখা পরিচালিত হচ্ছে। যার প্রমাণ এই পরিষদ এক বছর যাবৎ তার কাজের মাধ্যমেই দিয়েছে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘বাজুস চট্টগ্রাম শাখা এখন আরো বেশি শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হয়ে নিজ পায়ে সুপ্রতিষ্ঠিত। সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার জন্য সুন্দর পরিবেশে ও সুসজ্জিত একটি অফিস বাজুস চট্টগ্রাম শাখার সদস্যদের বহুদিনের প্রত্যাশা ছিল। বর্তমানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত, ডিজিটাল, সুসজ্জিত ও যুগোপযোগী নিজস্ব একটি অফিস স্থাপন করা হয়েছে। আজকে আমরা গর্ব করে বলতে পারি, আমাদের একটি আধুনিক অফিস রয়েছে, যা বাংলাদেশে স্বর্ণশিল্প মহলে বিরল।’</p> <p>অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা নগরীর এস এস খালেদ সড়কের রীমা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি মৃণাল কান্তি ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠ করা হয়। এরপর সমিতির প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পেশ করেন বাজুস চট্টগ্রামের কার্যকরী সদস্য শম্ভু ধর ও বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন বাজুস সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা। এতে বক্তব্য দেন বাজুস চট্টগ্রামের সিনিয়র সহসভাপতি সুধীর রঞ্জন বণিক, সভাপতি লিটন কান্তি ধর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুরেশ চন্দন ধর, সুদীপ কর্মকার, মো. আলমগীর।</p> <p>এতে বক্তারা বলেন, বাজুসের সম্মানিত প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে সারা দেশে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখন নতুন করে জেগে উঠেছেন। বাজুস এখন একটি মডেল ব্যাবসায়িক সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তিনি নেতৃত্বে আছেন বলেই বাজুস আজকে এত টাকা খরচ করে নতুন অফিস করার সাহস পেয়েছে। একসময় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হতেন। কিন্তু বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর, চট্টগ্রামের সভাপতি মৃণাল কান্তি ধর ও সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা নেতৃত্বে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়ীকে কারাবাস করতে হয়নি, কোনো ধরনের হয়রানির শিকারও হতে হয়নি।</p>